উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ১৬ দিন ধরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলকে। বারবারই থমকেছে ড্রিলিংয়ের কাজ। এর জেরে এখনও টানেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিককে। এই পরিস্থিতিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনতে রবিবারই নামানো হয়েছে সেনা। শুরু হয়েছে উল্লম্বভাবে পাহাড় কাটার কাজ। সোমবার সকাল পর্যন্ত পাহাড় কেটে ১৯.২ মিটার খনন কাজ হয়ে গেছে। মোট ৯০ মিটার মাটি খুঁড়তে হবে নভেম্বর ৩০ তারিখের মধ্যেই।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের মধ্যে কংক্রিটের আবর্জনা সরানোর পাশাপাশি উল্লম্বভাবে পাহাড় কেটে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। বিকল্প পথেই খননকাজ চলছে দ্রুত গতিতে। আর ১৭০ মিটার মতো খোঁড়খুঁড়ি বাকি। তবে আবহাওয়ার কারণে ব্যাঘাত ঘটেতে পারে উদ্ধারকার্য। কারণ উত্তরাখণ্ডে তুমুল বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। কাজেই সকাল থেকে যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে রাখতে চাইছেন উদ্ধারকারীরা।
খননকার্যে আগে অগার মেশিন ব্যবহার করা হলেও সেটিও ব্যর্থ হয় ধ্বংসস্তুপ সরাতে। রবিবার সকালেই হায়দরাবাদ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে নতুন খনন যন্ত্র প্লাজমা কাটার। ডিআরডিও-র অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররাও এসে পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। জানা গেছে, প্লাজমা কাটারের সাহায্যে সুড়ঙ্গ থেকে অগার মেশিনের ভাঙা অংশগুলো অনেকটাই বের করে ফেলা হয়েছে। আর ৮.১৫ মিটার খুঁড়ে কংক্রিটের আবর্জনা বের করা হবে। পাশাপাশি উল্লম্বভাবে পাহাড় কেটে যে বিকল্প পথ তৈরি হচ্ছে তার খনন কাজ আজ সকাল থেকেই ফের শুরু হয়েছে। তবে তাতে কত সময় লাগবে সেটা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। আরও ১০-১২ দিন মতো সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের উপরিভাগ থেকে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে ৯০ মিটারের মতো পথ ভিতরে যেতে হবে। এই খননকাজের সঙ্গে সঙ্গেই ঢোকানো হচ্ছে ২০০ মিলিমিটার পাইপ। উল্লম্বভাবে খনন শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি উদ্ধারকারী দলকে। ২০০ মিলিমিটার পাইপ ঢোকানোর পাশাপাশি, নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই পাইপের উপর দিয়ে ৮০০ মিমির চওড়া পাইপ ভিতরে ঢোকানো হবে।