বর্ধমান: মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছিল ছেলে। তার প্রতিবাদ করায় মাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম ঝর্ণা বাগদি (৫৮)। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার দেবপুর গ্রামে। মাকে খুনে অভিযুক্ত ছেলে বাপি বাগদির বিরুদ্ধে শুক্রবার ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বাবা আনন বাগদি। থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত ছেলে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আনন বাগদি ও ঝর্ণা বাগদি পেশায় খেত মজুর। তাঁদের তিন ছেলে, সকলেই বিবাহিত। পৃথক সংসারে তাঁরা থাকেন। বড় ছেলে বাপি একটি ঠিকাদার সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করে। পরিবারের অভিযোগ, বাপি বাড়িতে থাকলেই মদ খেয়ে নিজের স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করে। এই বিষয়টি পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারতেন না। বাপির মা সেই কারণে মদ খাওয়া ছাড়ার কথা বলতেন। কিন্তু বাপি মায়ের সেই নিষেধ অমান্য করেই মদ্যপান করত। এরপর সোমবার দুপুরে বাপি তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের ঘরে মদের আসর বসায়। ওই সময় মাঠের কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে বাপিকে মদ্যপান করতে দেখেন ঝর্ণাদেবী। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বাপিকে বকা দেন। তাতেই চটে গিয়ে বাপি একটা মোটা বাঁশ দিয়ে মাকে প্রচণ্ড মারধর শুরু করে। তার জেরে ঝর্ণাদেবী গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর এদিন বাড়িতে পৌঁছোতেই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। তারপরই পলাতক অভিযুক্ত ছেলে।