উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি মতোই গত পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত ভোটের পরই সাংবাদিক বৈঠক করে নিহতদের পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “মোট ১৯ জন মারা গিয়েছেন। বেশির ভাগই আমাদের লোক মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের ১ জনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি আমরা দেব।” ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথাও জানিয়েছিলেন মমতা। যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল পঞ্চায়েত ভোটে ৫০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। অথচ বিরোধীদের মৃত্যুকে পুলিশ ও রাজ্য সরকার ভোট হিংসার বলি বলে স্বীকারই করেনি। মুখ্যমন্ত্রীও নিজে ১৯ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। ফলে সরকারি ঘোষণার সুফল প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কতজন পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন হিংসা হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। ৮ জুলাই ছিল ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১৫ জুন থেকে মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়। ১১ জুলাই ভোটের গণনা হয়। ভোট ঘোষণার আগে থেকে কার্যত বোমা-গুলি-বন্দুকের শাসনে চলে গিয়েছিল বাংলা। মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছিল নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। পরে মুখ্যমন্ত্রী ১৯ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে তাঁদের পরিবারের ১ জনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন। সেই সিদ্ধান্তকেই মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।