অভিজিৎ ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: পেশায় কৃষিশ্রমিক। নিজেদের নামে নেই কোনও জমি। হাতে রয়েছে মাত্র ১২০০ টাকা। আর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। এই সম্বল নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে এসইউসিআই প্রার্থী চন্দন ওরাওঁ। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করার জন্য এখনও পর্যন্ত তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল ও বিজেপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে চন্দনও রয়েছেন।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের সম্পত্তির বহরের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন চন্দন। নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা দিয়েছেন প্রার্থীরা সেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিকবড়াইকের হাতে রয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। আর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১২ লক্ষ ৮৮ হাজার তিন টাকা।
অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হাতে রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৪১২ টাকা। সেই দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে চন্দন। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অন্তত সেই কথাই বলছে। এদিন এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার কিছু জমি রয়েছে। আমরা দুই ভাই সেখানে কাজ করি। ওই জমিতে চাষ করে উপার্জন হয়। আরেক ভাই বাইরে কাজ করে।’ হলফনামায় চন্দন জানিয়েছেন, ওঁর নামে ব্যাংকের কিছু টাকা ছাড়া আর কোনও স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি নেই। কিন্তু যখন হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে হবে তখন সেই খরচ কীভাবে চলবে? এই প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, ‘দল সাহায্য করছে। এছাড়া, বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তুলে ভোটে লড়ব।’
ফালকাটার হরিনাথপুরের বাসিন্দা চন্দনের সম্পত্তির পরিমাণ কম থাকলেও প্রচারে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ প্রার্থী। প্রতিদিনই বের হচ্ছেন প্রচারে। লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন। দলের তরফে কোনও বড় প্রচার নয়। বরং ছোট পাড়া বৈঠক ও পথসভার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এসইউসিআইয়ের আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘তৃণমূল, বিজেপির কাছে অর্থবল-লোকবল থাকতে পারে। তবে আমাদের দলের মতো নিষ্ঠাবান কর্মী পাবে না। আমরা চাঁদা তুলে ভোট করব। ভালো লড়াই দেব।’