নাগরাকাটা: রাজ্যস্তরের কলা উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেল জলপাইগুড়ির ১৭ জন পড়ুয়া। গত শনিবার সুনীতিবালা সদর গার্লস হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত দিনভর আয়োজিত জেলা স্তরের কলা উৎসবে মোট ২৫টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে ৯০ জন অংশ নেয়। বিশেষভাবে সক্ষম হিসেবে প্রথম জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করা বাংলার প্রবাদ প্রতিম সাঁতারু মাসুদুর রহমান বৈদ্যর জীবনকেন্দ্রিক একটি একক নাটক মঞ্চস্থ করে তাক লাগিয়ে দেয় নয়ন দত্ত নামে বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়া। সে বাহাদুর মুন্নাস হ্যাপি হোম স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। চারুকলা বিভাবে(ইন্ডেজেনিয়াস টয়েস অ্যান্ড গেমস) নিজের হাতে তৈরি অনবদ্য একটি সৃষ্টি উপস্থাপন করে সোনাউল্লা হাই স্কুলের আরেক ছাত্র রৌণক জমাদার। তাঁরাও রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর কলকাতায় আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর রাজ্য কলা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে কলা উৎসব চালু হয়। উদ্দেশ্য দেশীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণ, প্রসার ও সেই সঙ্গে নতুন সাংস্কৃতিক প্রতিভা তুলে আনা। সমগ্র শিক্ষা মিশনের জেলা শাখা সূত্রে জানা গেছে গত বছরের কলা উৎসবে জলপাইগুড়ি জেলা থেকে দুই ছাত্রী রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে জাতীয় স্তরে অংশ গ্রহণের সুযোগ পায়। তাঁদের নাম যথাক্রমে অদ্রিজা ঘোষ ও রত্না রায়। ওই দু’জন যথাক্রমে হোলি চাইল্ড স্কুল ও বাহাদুর মুন্নাস হ্যাপি হোম স্কুলের ছাত্রী। অদ্রিজা ধ্রুপদী নৃত্যে ও রত্না কারুকলাতে রাজ্যে প্রথম হয়। সেবারও জেলা থেকে মোট ১৭ জনের একটি দল রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সমগ্র শিক্ষা মিশনের জলপাইগুড়ির জেলা পেডাগজি কো-অর্ডিনেটার রাজা দত্ত বলেন, ‘জলপাইগুড়ি জেলা থেকে এই উৎসবের মাধ্যমে বহু প্রতিভা উঠে আসছে।‘