উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ এর সামনে নয়া চ্যালেঞ্জ। চাঁদের কনকনে ঠান্ডা সহ্য করে ফের কি জেগে উঠবে বিক্রম? ল্যান্ডার বিক্রম কিংবা রোভার প্রজ্ঞানে কি রয়েছে তেমন প্রযুক্তি? এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর।
রাত নেমেছে চাঁদের বাড়িতে। সূর্যমামা গেছে অস্তাচলে।আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ফের সূর্যের মুখ দেখবে চাঁদ, মানে সকাল হবে চাঁদে এমনটাই জানাচ্ছে ইসরো। তখনই বোঝা যাবে, বিক্রম বা প্রজ্ঞানের প্রযুক্তি স্বাভাবিক রয়েছে কিনা?বিজ্ঞানীরা বলছেন সম্ভাবনা ক্ষীণ।তবুও আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রপৃষ্ঠে রাতের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম। দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্রা কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নেমে যায়। চন্দ্রযান-৩ এই ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে কিনা সেবিষয়ে এখনো কিছু বলা যাবেনা। ইসরো ল্যান্ডার, রোভার এবং পেলোডগুলিকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দিলেও চালু রেখেছে তথ্য সংগ্রহকারী যন্ত্রটিকে।যাতে আবার যখন চাঁদে সূর্য উঠবে তখন সৌরশক্তির সাহায্যে জেগে উঠতে পারে চন্দ্রযান-৩। এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি বোঝা যাবে রিসিভার বা তথ্য সংগ্রহকারী যন্ত্রের মাধ্যমেই।
উল্লেখ্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে পা রেখেছে ভারত।গত ২৩ অগাস্ট চাঁদে সফল ভাবে সফ্ট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান-৩। তারপরে বিক্রমের গর্ভ থেকে বেরিয়েছে প্রজ্ঞান।ছ’চাকা বিশিষ্ট এই যন্ত্রটি চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে অনুসন্ধান করে সালফারের খোঁজ এনে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চাঁদের মাটিতে দু’ভাগে ছবি তুলেছে রোভারের নেভিগেশন ক্যামেরা। চাঁদে দিনের আলো যে ক্ষীণ, সেই ছবি থেকে তা স্পষ্ট।