রায়গঞ্জঃ নেশার টাকা না পেয়ে ধারাল অস্ত্র নিয়ে বৃদ্ধা মায়ের ওপর হামলা চালাল গুনধর ছেলে। শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন বৌমা। এমনই ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর এলাকায়। জখম মা ও বৌমা রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্তের স্ত্রী আলো দাস। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত যুবক।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গুণধর ছেলের নাম ফুলকুমার দাস। সে পেশায় টোটো চালক। ফুলকুমারের মা পূর্ণিমা দাস বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করার পাশাপাশি বেতের কুলা, ডালি সহ একাধিক সামগ্রী তৈরি করে হাঁটে হাঁটে বিক্রি করেন। বুধবার সকালে ফুলকুমার তার বৃদ্ধা মা পূর্ণিমা দাসের কাছে নেশা করার টাকা চায়। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় রান্নাঘর থেকে বটি এনে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। শাশুড়িকে বাঁচাতে গেলে গুরুতর জখম হন অভিযুক্তের ভাইয়ের স্ত্রী হেমা দাস। রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
বৃদ্ধার আরেক ছেলে রাজু দাস পেশায় বাজনা বাদক বলেন, ‘বাবাকে এক বছর আগে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল। দাদার জন্যই বাবার মৃত্যু হয়। সে বার আমি থানায় মামলা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মা ও পরিবারের জন্য করতে পারিনি। এবার আমার মা ও আমার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার চেষ্টা করছে দুজনে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এবার আমার দাদা ফুলকুমার দাসের শেষ দেখে ছাড়ব’।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, অভিযুক্ত ফুলকুমার মাদকে আসক্ত, টোটো ভাড়া মেরে যে টাকা আয় করে, সেই টাকা দিয়ে নেশা করে। অভিযুক্ত ছেলের জন্যই মরতে হয় ওই বৃদ্ধকে। বাসিন্দাদের বক্তব্য এই ধরনের কুলাঙ্গার ছেলে আমাদের গ্রামে থাকা চলবে না।