রায়গঞ্জঃ নামি ইলেকট্রিক সরঞ্জামের আড়ালে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা। একটি কন্টেনারসহ দুটি লরি থেকে হাজার হাজার কাফ সিরাপের বোতল উদ্ধার করল শুল্ক দপ্তরের কর্মীরা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রবিবার ভোররাতে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় দুটি গাড়িকে দাঁড় করায় শুল্ক দপ্তরের কর্মীরা। সেই সময়ই বিপদ বুঝে গাড়ি ফেলেই পালিয়ে যায় দুই গাড়ির চালক ও খালাসিরা। এরপর সেই গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালিয়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের আড়াল থেকে উদ্ধার হয় ২৮ হাজার বোতল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ। উদ্ধার হওয়া কাফ সিরাপ সহ গাড়ি দুটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দপ্তর।
শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের একটি কন্টেনার ও বিহারের একটি লরিতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের আড়ালে কাফ সিরাপ আসামে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। ওই দুটি গাড়ি আসামে না গিয়ে ডালখোলা হয়ে রায়গঞ্জের উপর দিয়ে কালিয়াচক যাওয়ার পরিকল্পনা করে পাচারকারীরা। সেই সময় শিলিগুড়ি মোড়ে নাকা চেকিংএ আটকে পড়ে গাড়ি দুটি। সেই গাড়ি দুটি থেকেই উদ্ধার হয় ২৮ হাজার বোতল কাপ সিরাপ। গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন গাড়িচালকের নাম জানা গিয়েছে। তার নাম সাব্বির আলী বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক চন্দন চ্যাটার্জী বলেন, নামি ইলেকট্রিক কোম্পানির সরঞ্জামের আড়ালে এই নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ গুলি পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই মুহূর্তে উদ্ধার হওয়া কাফ সিরাপের বাজার দর বলা সম্ভব নয়। এই নিষিদ্ধ নেশার সামগ্রী হিমাচল প্রদেশ থেকে উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকেছে।