বর্ধমান: একই রাতে তিনটি কালীমন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি! লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের ওড়গ্রামের বড় মা কালীমন্দির, ক্ষ্যাপা মা কালীমন্দির ও ছোট মা কালীমন্দিরে। মঙ্গলবার সকালে কালী প্রতিমা অলংকার শূন্য অবস্থায় দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভাতার থানার পুলিশ।
ওড়গ্রামের রায়পাড়ায় রয়েছে পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন ক্ষ্যাপা কালীমন্দির। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, দেবী মায়ের শরীরে প্রায় ১০ ভরি সোনার গয়না এবং কয়েক কেজি রুপোর গয়না ছিল। শান্তি আঁকুড়ে নামে মন্দিরের এক সেবাইত গতকাল রাতে মন্দিরেই ঘুমোচ্ছিলেন। সেইসময় দুষ্কৃতীরা মন্দিরে হানা দেয়। মন্দিরের পূর্ব দিকের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেবীর শরীরে থাকা সমস্ত গয়না চুরি করে পালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, সেবাইতের মুখে চেতনানাশক কিছু ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। একই কায়দায় গতকাল রাতে ওড়গ্রামের নতুন পাড়ায় বড় মা কালীমন্দির এছাড়া ছোট মা কালীমন্দিরেও চুরি হয়। দেবীর রুপোর মুকুট, সোনার হার, সোনার জিভ, নথ সহ কয়েক লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল বিষ্ণু জানান, বড় মার শরীরের প্রায় পাঁচ ভরি সোনার গয়না এবং ১০০ ভরি রুপোর গয়না চুরি গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বড় মার পুজো পারিবারিক হলেও এক বছর পাল পরিবার ও দু’বছর ষোল আনার দ্বারা পুজো পরিচালনা হয়। এবছর পরিবারের পুজোর দায়িত্বে ছিল পাল পরিবার। পুজোর আগে মাকে গয়না পরানো হয় এবং বিসর্জনের আগে তা খুলে বিজয়া করা হয়। সোমবার সন্ধ্যা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। রাত পর্যন্ত মন্দির সংলগ্ন এলাকায় লোকজন ছিল। তবে কমিটির তরফে রাতে মন্দিরে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এদিন সকালে স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন মায়ের গয়না খোয়া গিয়েছে। সবগুলি ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।