গুয়াহাটি: অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। নয়টি জেলার চার লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে খবর। অসমের স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ)-র তরফে জানানো হয়েছে, বছরের প্রথম বন্যায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন।
এএসডিএমএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বক্সা, বরপেটা, দারাং, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, লখিমপুর, নলবাড়ি এবং উদালগুড়ি জেলায় বন্যা হয়েছে। চার লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার কিছু এলাকায় জলের স্তর কমতে শুরু করেছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা জানিয়েছেন, তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে কথা বলেছেন। বন্যা-পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, ‘ভারী বৃষ্টির কারণে অসমের কিছু অংশে মানুষ বন্যার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি।’ এজন্য শার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হিমন্ত।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) ইতিমধ্যেই উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। বিলি করা হচ্ছে ত্রাণ। এএসডিএমএ-র রিপোর্ট মোতাবেক, বর্তমানে ১১১৮টি গ্রাম জলের নীচে রয়েছে এবং অসমজুড়ে ৮৪৬৯.৫৬ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বক্সা, বরপেটা, সোনিতপুর, ধুবড়ি, কামরূপ, কোকরাঝাড়, নলবাড়ি, দক্ষিণ সালমারা এবং উদালগুড়িতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। করিমগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।
বঙ্গাইগাঁও, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, করিমগঞ্জ, উদালগুড়ি এবং লখিমপুরে বাঁধ, রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র তেজপুর এবং নেয়ামতিঘাটে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন।