পুরাতন মালদা: শিল্পতালুকের বিষাক্ত জল বিলে মিশে মৃত্যু হল ৩০ কুইন্টাল মাছের। এর ফলে বিপন্ন হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র (Ecosystem)। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় বিলে। এলাকার মৎস্যজীবীরা ওই বিলটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎ করে কারখানার জল ঢুকে গিয়ে বিলের সমস্ত মাছ মারা যায়। শুধু তাই নয় অন্যান্য জলজ প্রাণীও ওই বিষাক্ত জলে মারা পড়েছে। ফলে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্যজীবীরা (Fisherman) দাবি করেছেন।
পরিবেশপ্রেমীরাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘শিল্প তালুকের কারখানার জল বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে না নির্গত করায় ওই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ এ বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী তথা শিক্ষক ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘যাত্রাডাঙ্গা বলাতুলি বিলে যেভাবে বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হচ্ছে তা উদ্বেগের বিষয়। বেহুলা নদীতেও দূষণ ছড়াচ্ছে। এ ধরনের খবর আমরা পাচ্ছি। তবে মৎস্যজীবীর অভিযোগ যদি ঠিক সত্য থাকে তাহলে ওই বিষয়টি নিয়ে না ভাবলে বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হবে। যার সামগ্রিক প্রভাব পড়বে পরিবেশের উপর।’ মৎস্যচাষি জিয়াউল হক বলেন, ‘নারায়ণপুর শিল্পতালুকের বেশ কিছু কারখানার জল নির্গত হয়ে আমাদের এই বড় বিলে মিশে গিয়েছে। যে কারণে বিলের প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মাছ মারা গিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য জলজ প্রাণীদেরও মৃত্যু ঘটছে। আমরা চাইছি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুক।’ অপর এক মৎস্যজীবী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বড় বিলে মাছ (Fish) ধরে আমাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই আমরা দেখতে পাচ্ছি বিলের সমস্ত ছোট ও বড় মাছ মরে গিয়েছে। কারখানার মালিক গোষ্ঠীর পরিকল্পনাহীনতার মাশুল আমাদেরকে দিতে হল।’ এ বিষয়ে মালদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল চেম্বার অফ কমার্সের (Industrial Chamber of Commerce) অন্যতম কর্মকর্তা সুভাষ হালদার বলেন, ‘বড় বিলে নারায়ণপুর শিল্পতালুকের জল যায় না। মৎস্যজীবীরা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন।’