কালিয়াগঞ্জ: অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল কালিয়াগঞ্জের চারটি পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার। দিন কয়েক আগে সিকিমের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরিবারের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল ব্লকের মধ্য কুনোর এলাকার হঠাৎ পাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়, জয়দেব রায়, তাপস বর্মন এবং জয়দেব রায়। অবশেষে তাঁরা বাড়ি ফিরলেন। এরা প্রত্যেকেই সিকিমের রাউংচুতে একটি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টে কর্মরত ছিলেন।
জয়দেব রায় বলেন, ‘আমাদের ওখান থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হ্রদ ভেঙে এই দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। তবে, আমরা সুরক্ষিত ছিলাম। শুধুমাত্র যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। যাতে আর্মিদের হেলিকপ্টার নামতে পারে সে জন্যে আমরা নিজেরা একটা হেলিপ্যাড তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, সেখানে আর্মির হেলিকপ্টার শেষ পর্যন্ত না আসায় বাধ্য হয়ে আমরা ২ দিন ৫৫ কিলোমিটার পাহাড়ের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নারুল নামে একটি এলাকায় এসে পৌঁছোই। সেখান থেকে বাসে গ্যাংটক এবং তারপর শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছোই। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে আসি।‘
অন্যদিকে, বিশ্বজিতের মা অনিতা সিংহের কথায়, ‘আর ছেলেকে বাইরে পাঠাব না। আমরা গরীব মানুষ। তাই কাছেপিঠে কাজ করেই ছেলে জীবন যাপন করবে।’