উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করার সময় এক বৃদ্ধের কুকীর্তি দেখে ফেলেছিল পরিবারের লোকেরা। সেখান থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে গিয়ে লোকলজ্জা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে অভিযুক্ত। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলার ফরিদপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে। গ্রামেরই একটি আমগাছে বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নির্যাতিতা শিশুটির চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে। যদিও এটি শুধুমাত্র আত্মহত্যার ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শিশুটি প্রতিদিনকার মতোই বাড়ির বাইরে খেলছিল। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না তার। পরিবারের লোকেরা আশপাশের বাড়ি গুলিতে শিশুটির খোঁজ শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে তারা যান শের মহম্মদের বাড়ি। সেই বাড়ি থেকে শিশুটির কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতেই ভিতরে গিয়ে দেখতে পান শিশুর উপর যৌন অত্যাচার চালাচ্ছে বৃদ্ধ শের। তা দেখার পর রীতিমতো চমকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি দেখে ফেলতেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বৃদ্ধ।
ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফরিদপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পকসো আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের রুজু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলে।
এদিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বৃদ্ধার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তার খোঁজ শুরু করতেই পুলিশের কাছে খবর আসে গ্রামেরই একটি আম গাছে ঝুলছে অভিযুক্তের দেহ। তড়িঘড়ি সেখানে পুলিশ পৌঁছে শের মহম্মদের দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা এই কুকীর্তি দেখে ফেলায় বৃদ্ধ ভয় পেয়ে গিয়েছিল এবং তার মধ্যে অনুশোচনাও কাজ করছিল। লোকলজ্জা ও গ্রেপ্তারের ভয়েই আত্মঘাতী হয়েছে শের মহম্মদ।