চালসাঃ কলকাতার বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় বৈঠকের শেষ দিন শুক্রবারও মেলেনি কোন সমাধানসূত্র। পাওনা বলতে শুধু গত ২১ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বৈঠকের প্রস্তাবিত সাড়ে ৮ শতাংশের হার বাড়িয়ে মালিকপক্ষ এদিন সর্বশেষ ১৫ শতাংশের প্রস্তাব দেয়। যদিও গোড়া থেকেই ২০ শতাংশ হারের বোনাস ঘোষণার দাবিতে অনড় থাকা জোটবদ্ধ সমস্ত শ্রমিক সংগঠন তা প্রত্যাখান করে। এদিকে মালিকদের সংগঠনগুলির মধ্যে প্রস্তাবিত ওই বোনাসের হার নিয়ে তীব্র মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। তাঁদের ১০.৫ শতাংশের বেশী বোনাস দেওয়ার ক্ষমতাই নেই এমন কারণ দেখিয়ে টেরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (টিপা) ও ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইটিপিএ) বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করে। দাবি মতো বোনাস দিতে মালিকপক্ষ অস্বীকার করায় শনিবার থেকে গেট মিটিংয়ের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলির একাংশ।
বোনাসের দাবি না পূরণ হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা বাগান ও ডাঙ্গি ডিভিশন চা বাগানে জয়েন্ট ফোরামের তরফে গেট মিটিংয়ে অংশ নেয় শ্রমিকরা। মূলত বোনাসের দাবিতে গেট মিটিং করে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বি টি ডাবলু ইউ ও চা বাগান মজনুর ইউনিয়ন। বাগানের শ্রমিক নেতারা বলেন, সামনেই পুজো এখনও বোনাস বৈঠক সফল হয়নি। গতকাল মালিক পক্ষ ১৫ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু এত কম বোনাসে শ্রমিকরা পুজো করবে কি করে। শ্রমিকরা এতে রাজি নয়। আমাদের দাবি পুজো আগেই শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে।
বাতাবাড়ি চা বাগানে উপস্থিত ছিলেন বিটিডাবলুইউ-এর বাগান সভাপতি রাজকুমার পাশওয়ান, চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের বাগান সম্পাদক শীতালাল ওরাওঁ, কর্নে বাহাদুর লামা, শ্যাম লামা প্রমুখ। এদিন প্রায় ঘন্টাখানেক গেট মিটিংয়ের পর শ্রমিকরা ফের কাজে যোগদান করেন। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সেই চতুর্থ বোনাস ডাকা হয়েছে আগামী ১০ অক্টোবর। মালিকপক্ষের যৌথ মঞ্চ কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের (সিসিপিএ) সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিত রাহা বলেন, ১৫ শতাংশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত আরেকটি বৈঠক ডাকার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।