রায়গঞ্জ: গত শুক্রবার করণদিঘিতে লাহতারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাঙর ভেঙে পাঁচ শিশু জখমের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। সোমবার সংগঠনের জেলা সভাপতির নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক নেতৃত্ব এসে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ডেপুটেশন দেন। জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলির সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ এবং ক্রীড়া পরিচালনার বকেয়া অর্থ প্রদানের দাবি জানান তাঁরা।
শিক্ষকদের একাংশের দাবি, স্কুল ভবনের বেহাল অবস্থায় আতঙ্কে ভুগছেন শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। কমবেশি প্রায় ৫০ শতাংশ স্কুলই ১৫ থেকে ২০ বছরের পুরোনো। এই স্কুলগুলির মধ্যে কিছু স্কুলে নতুন ভবন তৈরি হলেও বেশিরভাগেরই ক্লাস চলে পুরোনো ভবনে।
যদিও বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পায়ের তলায় আর মাটি নেই। কারণ তাদের দলের লোকজন স্কুল বাড়িগুলি নিম্নমানের জিনিস দিয়ে তৈরি করছে। তাদের সরকার পুরোনো স্কুল বাড়ি নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে না। তারাই আবার গুটি কয়েক সদস্যদের নিয়ে এসে ডেপুটেশন দিচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চান না তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান। তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলির অবিলম্বে সংস্কারের প্রয়োজন। আমরা সেই দাবি ডিআই স্যারকে জানালাম। এছাড়া অনলাইন পিএফ, সীমানা প্রাচীর, শীতকালীন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বকেয়া টাকা প্রদানের দাবি জানিয়েছি আমরা।‘
অন্যদিকে, নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক নির্মল বোস বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই আমলে তৈরি বেশকিছু নিম্নমানের স্কুলবাড়ি এবং পুরোনো স্কুল বাড়িগুলির সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। পাশাপাশি আমাদের দাবি, যে সমস্ত এজেন্সি শাসকদলের যোগসূত্র করে নিম্নমানের স্কুল বাড়ি তৈরি করেছে তাদের চিহ্নিত করে ব্ল্যাকলিস্টেড করতে হবে।‘ এদিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দুলাল সরকার তাঁদের দাবিপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।