নাগরাকাটা: শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে এলেও এতদিন জমির অধিকার বলতে কিছু ছিল না।দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে কৃষি জমির পাট্টা পেল নাগরাকাটার ভগতপুর চা বাগানের ৫৮টি শ্রমিক পরিবার। যাদের বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। বৃহস্পতিবার নাগরাকাটার ময়নাখোলা লাগোয়া এলাকায় শ্রমিক পরিবারগুলির হাতে পাট্টা তুলে দেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণেশ ওরাওঁ।
বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ বলেন, ‘শুধু এখানেই নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় নাগরাকাটার ধরণিপুর চা বাগানের ২৫৯টি শ্রমিক পরিবারকে বাস্তু জমির পাট্টা প্রদানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কিছু পরিবার নথিপত্র পেয়ে গিয়েছে। বাকিরাও দ্রুত পেয়ে যাবেন।’ এদিকে, কৃষি জমির পাট্টা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া ভগতপুর চা বাগানে। বাগানের বাসিন্দা উইলসন লাকড়ার কথায়, ‘জমির অধিকার পেলাম। এর চেয়ে ভালো আর কিই বা হতে পারে।’