বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাংক ভেঙে পড়ে স্ত্রী মফিজা বেগমের মৃত্যু নিয়ে রেল মন্ত্রকের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন স্বামী আব্দুল মফিজ শেখ। এমনকি শুধু বিদ্রোহ ঘোষণা করেই খান্ত থাকেননি তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য রেলের গাফিলতিকে দায়ী করে বর্ধমান জিআরপিতে এফআইআর দায়ের করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেছেন তিনি। জিআরপি মামলা রুজু করে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরে করেছে।
আব্দুল মফিজ শেখের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারির হাটপুকুরে। শ্যালিকার মেয়ে মেহেরুন্নিসাকে হাওড়াগামী ট্রেনে তুলে দিতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল তাদের মেয়ে মেহতাজও। তখনই ট্যাংকটি ভেঙে পড়ে। মফিজ ও তাঁর মেয়ে জখম হলেও মৃত্যু হয় স্ত্রীর। বেঁচে যায় মেহেরুন্নিসা। মফিজ জানান, ঘটনার পেছনে রেলের গাফিলতি রয়েছে। তাই তিনি এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চান। দুর্ঘটনার পর মৃত ও জখমদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়েও রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন বর্ধমান থানার আইসি সুখমর চক্রবর্তী এবং বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর রাতে মফিজার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র স্পষ্ট জানান, বর্ধমান স্টেশনে হওয়া দুর্ঘটনায় তিরিশ জনের মতো জখম এবং তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। রেলমন্ত্রী প্রত্যেক মৃতর পরিবারাকে ৫ লক্ষ টাকা এবং জখমদের সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। আর যাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন তাদের পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও রেলমন্ত্রীর ঘোষণায় রয়েছে। এই ঘোষণা মতোই সরকারি তালিকায় নাম থাকা মৃতদের পরিবার ও জখমরা ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়ে যাবেন।