শামুকতলা: শামুকতলা (Samuktala) থানা এলাকায় নিখোঁজের (Missing Case) সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। গত ১০ দিনে ছয়টি নিখোঁজের অভিযোগ সামনে এসেছে। তালিকায় এক তরুণী, দুই তরুণ এবং তিন গৃহবধূ। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পুলিশকর্তারা (Samuktala Police)। গত এক মাসে সংখ্যাটা দ্বিগুণেরও বেশি।
শামুকতলা থানা সূত্রে জানা গেল, গত দশ দিনে ছয়জনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। চলতি মাসের প্রথম দিন তুরতুরি চা বাগান এলাকায় ১৮ বছরের এক তরুণী নিখোঁজ হন। পরিবারের তরফে শামুকতলা থানায় শুক্রবার অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী শামুকতলায় টিউশন পড়তে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
একইদিনে তুরতুরিখণ্ড এলাকায় ১৯ বছরের এক তরুণ নিখোঁজ হন। তিনি সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দোকানে যান। কিন্তু এরপর তাঁকে আর দেখা যায়নি। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর মা।
দক্ষিণ মজিদখানার এক বধূ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত সাতদিন ধরে তাঁর খোঁজ নেই। মেয়ের বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ওই বধূ।
এছাড়া, তুরতুরি বস্তি এলাকার এক তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন মার্চ মাসের ৩১ তারিখ। বাড়ি থেকে বের হয়ে শামুকতলা বাজারে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে খোঁজ নেই। ওই একই দিনে শামুকতলা থানার পূর্ব চিকলিগুড়ি এবং চৌকিরবস দুই গ্রাম থেকে দুই বধূ নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। গত শনিবার নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বড় চৌকিরবসের ২৯ বছরের ওই বধূ বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যান। তারপর তাঁকে আর দেখা যায়নি। ওই বধূর স্বামী নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শামুকতলা থানার ওসি জগদীশ রায় বলছিলেন, ‘প্রতিমাসেই বেশ কয়েকটি নিখোঁজের ঘটনা সামনে আসে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বধূ। সেগুলোর অধিকাংশই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে ঘটে থাকে। তবে এবার এত বেশি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। সমস্ত ঘটনার তদন্ত চলছে।’ পাশাপাশি সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়মিত করা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।