কোচবিহার, ৯ এপ্রিল : মঙ্গলবার বিকেলে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলির সিবিসিএস সিস্টেমের প্রথম সিমেস্টারের ব্যাকলগ, তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের রেগুলার এবং ব্যাকলগ পড়ুয়াদের ফলপ্রকাশ হয়। তিনটি সিমেস্টার মিলিয়ে প্রোগ্রাম কোর্সে গড়ে ৫০ শতাংশের বেশি পড়ুয়া ফেল করেছে। অনার্সের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা অবশ্য অন্যরকম। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ আব্দুল কাদের সাফেলি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রথম সিমেস্টার ব্যাকলগে অনার্সে ৬৩.৩৯ শতাংশ পড়ুয়া এবং প্রোগ্রাম কোর্সে ৪৭.৯৭ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। অপরদিকে, তৃতীয় সিমেস্টারের রেগুলার এবং ব্যাকলগ মিলিয়ে অনার্সে ৬৯.২১ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করলেও প্রোগ্রাম কোর্সের মাত্র ৪১.১৫ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। এদিকে পঞ্চম সিমেস্টারে রেগুলার এবং ব্যাকলগ মিলিয়ে অনার্সে ৭৮.৫৭ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করলেও প্রোগ্রাম কোর্সে মাত্র ৪০.১৭ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন।
শিক্ষাবিদদের অনেকেই বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বই এবং মোবাইল দেখে পরীক্ষা দেওয়া, বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেওয়া এবং না পড়ে পাশ করাই এধরনের ফলাফলের অন্যতম কারণ। এছাড়া বেশ কিছু কলেজে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, অনার্সের পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ঠিকঠাক থাকলেও প্রোগ্রাম কোর্সের পড়ুয়াদের সেই হার অনেকটাই কম। ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের অনেকেই সিলেবাসের ধরন সম্বন্ধেও জানতে পারছেন না।
কোচবিহার কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ পঙ্কজকুমার দেবনাথ বলেন, ‘এর পেছনে করোনার প্রভাব তো অস্বীকার করা যায় না। এছাড়া প্রোগ্রাম কোর্সের পড়ুয়ারা ঠিকভাবে ক্লাস না করায় তাদের অনুপস্থিতিও এর অন্যতম কারণ।’ বাণেশ্বর সারথিবালা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ নরেন্দ্রনাথ রায়ের বক্তব্য, ‘যারা প্রোগ্রাম কোর্সে পড়াশোনা করছে, তারা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। এতে অনার্সের পড়ুয়াদের মতো পুরোটা দিতে পারছে না।’