সামসী: মেলেনি বার্ধক্য ভাতা। বাড়ি বাড়ি ভিক্ষে করেই দিন কাটে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা জামিলা বিবির। বাড়ি রতুয়া-২ ব্লকের শ্রীপুর শ্যামপুরে বাড়ি। একটি ভাঙাচোরা ঘরে অসুস্থ স্বামী শেখ রব্বুলকে(৬৬) নিয়ে বসবাস করেন তিনি। বাড়িতে শৌচালয়ও নেই। নেই জমি জায়গাও। দুই শতক ভিটে টুকুই সম্বল।
জামিলা বিবি জানিয়েছেন, তিনি এখনও বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না। যদিও দুয়ারে সরকার এমনকি ব্লক দপ্তরে গিয়েও কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজ অবধি ভাতা অধরা। বার্ধক্য ভাতা থেকে তার স্বামীও বঞ্চিত। আবাস যোজনার পাকা ঘরও পাননি। দুই ছেলে, দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। আর দুই ছেলে বিয়ে করার পরই আলাদা থাকেন। ছেলেরা বাবা-মাকে দেখেন না। সংসারে কোনও আয় নেই। এক সময় স্বামী দিন মজুরি করে সংসার চালাতেন। কিন্তু এখন স্বামী অসুস্থ বলে চলা ফেরা করতে পারেন না। তাই সংসার চালাতে তিনি নিজেই বাড়ি বাড়ি ভিক্ষে করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বয়স হয়েছে। আগের মতো বেশি দূর আর যেতে পারিনা। ভগবানপুর, সামসী, মহেশপুর, শ্রীপুরের আশপাশেই ভিক্ষে করি। ভিক্ষে করে তিন বেলা খাবার জোটেনা। তার ওপর স্বামীর চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। কি যে করি ভেবে কুল পাচ্ছিনা। জামিলার কাতর আবেদন, অন্তত ভাতাটুকু চালু হলে খুব ভালো হতো। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নুরসেবা খাতুন জানান, জামিলা বিবির ভাতার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। রতুয়া-২ এর বিডিওকে বলা হয়েছে। শীঘ্রই ভাতা চালু হয়ে যাবে।