প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য ২২টি রাজ্যকে ৭৫৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ব্যয় সংক্রান্ত দপ্তর। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুপারিশে এই অর্থ ২২ টি রাজ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় যার মধ্যে ত্রিপুরা ৩০ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা এবং আসাম ৩৪০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পেয়েছে। হিমাচল প্রদেশে দেওয়া হয়েছে ১৮০ কোটি ৪০ লক্ষ, মহারাষ্ট্রের জন্য সর্বাধিক ১৪২০ কোটি ৮০ লক্ষ, অগ্নিগর্ভ মণিপুরের জন্য নামমাত্র ১৮ কোটি ৮০ লক্ষ বরাদ্দ করা হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ করা হয়নি কিছুই।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে রাজ্যগুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দ্রুত অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্যে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে গত আর্থিক বছরে এই তহবিলের প্রদেয় অর্থ খরচ সংক্রান্ত ব্যবহারিক শংসাপত্রের নিয়মে শিথিলতা আনা হয়েছে। ২০০৫ সালের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা তহবিল গড়ে তোলা হয়। কেন্দ্র এই তহবিলে ৭৫ শতাংশ অর্থ দিয়ে থাকে। তবে উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলির জন্য ৯০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার প্রদান করে। প্রতি বছর মূলত: দুটি কিস্তিতে এই টাকা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অর্থ কমিশনের সুপারিশ বিবেচ্য।
রাজ্যগুলিকে বিপর্যয়ের মোকাবিলা তহবিলের অর্থ ঘূর্ণীঝড়, খরা, ভূমিকম্প, বন্যা, শিলা বৃষ্টি, ভূমিধস, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যয় করা হয়। ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ১২২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেবে ৯৮ হাজার ৮০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এ পর্যন্ত কেন্দ্র এই খাতে রাজ্যগুলিকে ৪২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে বর্ষার মরশুমে বাংলায় প্রতিবছর প্রবল বন্যার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় খাতে বাংলাকে কেন কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হল না, সে নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রাজ্যে শাসক দলীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে।