নাগরাকাটা: সিকিমে কাজের জন্য গিয়ে ৩ তারিখ রাতের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই নাগরাকাটার ৬ যুবকের। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলারও দুই যুবকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁদের কেউ লাচুং আবার কেউ লাচেনে কাজ করতেন। দুটি জায়গাই উত্তর সিকিমে। এর ফলে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বাড়ির লোকেরা। তাঁদের কাউকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। নাগরাকাটার বিডিও বিপুল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘প্রত্যেকের বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। যোগাযোগের চেষ্টা শুরু হয়েছে।‘
নাগরাকাটা ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৬ যুবকের সঙ্গে বাড়ির লোক যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁদের মধ্যে ৪ জনই আংরাভাসা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর নুনখাওয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। ১৫ দিন আগে তাঁরা হোটেলে কাজ করতে যান। যুবকদের নাম সুজিত দে, রাহুল বর্মন, দীপঙ্কর কর ও হেমন্ত দে। তাঁদের মধ্যে প্রথম ৩ জন লাচেনে এবং অন্যজন লাচুং-এ কাজ করেন। তাঁদের সঙ্গে আলিুপুরদুয়ার জেলার শুভঙ্কর দে ও তপন সূত্রধর নামে আরও দুজনও রয়েছেন। তাঁরাও লাচুং-এর হোটেলে কাজ করতেন। অন্যদিকে, গাঠিয়া চা বাগানের সন্ধু লাইনের সুনীল শবর ও লুকসান চা বাগানের বাজার লাইনের রবিন ওরাওঁ নামে আরও দুই যুবকও মাস পাঁচেক আগে একসঙ্গে লাচুং-এ যান। তাঁরা একটি বেসরকারী প্রজেক্টে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। বিপর্যয়ের পর থেকে তাঁদের সঙ্গেও পরিবারের আর কোনও যোগাযোগ নেই।
রবিনের স্ত্রী ভাদো ওরাওঁ বলেন, ‘৩ তারিখ রাতে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল। তারপর থেকে মোবাইল বন্ধ। বাড়িতে দুই নাবালক পুত্র-কন্যাকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি।‘ সুনীলের স্ত্রী ডেমুনি বলেন, ‘প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আমাদের আর অন্য কিছু করার নেই।‘ প্রশাসন সূত্রে জানিয়েছেন, সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। বিদ্যুৎও নেই। যোগাযোগ না করতে পারার এটাও একটি কারণ হতে পারে।