ময়নাগুড়ি: প্রধানের বিদায়ের দিনে চোখের জলে ভাসলেন সহকর্মীরা। জলপাইগুড়ি জেলার রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সবথেকে প্রবীণ প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলে আসছিলেন ৮০ উর্ধ্ব রত্নেশ্বর রায়। বয়সের ভারে কিছুটা ক্লান্ত হলেও খামতি ছিল না দায়ভার সামলাতে। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে এই প্রবীণ রাজনীতিককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সকলে।
কয়েক দশক ধরেই রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন রত্নেশ্বর বাবু। ১৯৮৩ সালে প্রধান হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন রত্নেশ্বর বাবু। এরপর দীর্ঘ কয়েক বছর প্রধান পদে থাকার পর টানা পনেরো বছর পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব সামলান তিনি। এরপরে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হন এবং পুনরায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। চলতি বছর আর ভোটে দাঁড়াননি রত্নেশর বাবু। বৃহস্পতিবার নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিত ওরাওঁ।
রত্নেশ্বর বাবু জানান, রামশাইবাসীর ভালোবাসায় তিনি আপ্লুত। ছোট থেকে অভাবের মধ্যেই বেড়ে উঠেছিলেন। কিন্তু পড়াশুনা চালিয়ে যান দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে। চা বাগানের বিভিন্ন লাইন হোক কিংবা বনবস্তি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে এলাকার বিভিন্ন জায়গাতেই ছুটে বেড়াতেন তিনি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করে এসেছেন। এতদিন রামশাইবাসীর থেকে যেভাবে ভালোবাসা পেয়ে আসছেন তা সত্যি ভোলার নয়।
ময়নাগুড়ি ব্লক এক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মনোজ রায় বলেন, রত্নেশ্বর বাবু সব থেকে প্রবীণ প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর অবদান ভুলে যাবার নয়। বিজেপির ময়নাগুড়ি উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শান্তস্বরুপ বিশ্বাস বলেন, ‘রত্নেশ্বর বাবু এই বয়সেও যেভাবে দায়ভার সামলে এসেছেন এতদিন, তা প্রশংসনীয়।‘