উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামী ১১ জুন থেকে শুরু হবে বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ। শুক্রবার শহরের একটি হোটেলে দুই প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ঝুলন গোস্বামীর হাত ধরে উন্মোচন হল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের ট্রফি। পাশাপাশি আট ফ্র্যাঞ্চাইজির মার্কি প্লেয়ারের নামও ঘোষণা হল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি)-এর সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সহ বাংলার একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেট তারকা। এদিন ট্রফি উন্মোচনের সময় সৌরভ মঞ্চে ডেকে নেন মনোজ তিওয়ারি, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, প্রণব রায়, উৎপল চট্টোপাধ্যায়, গার্গী মুখোপাধ্যায়, শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়কে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১১ থেকে ২৮ জুন থেকে শুরু হবে বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ। সিএবির পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে আরিভা স্পোর্টস। প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির পুরুষ এবং মহিলা দল থাকবে। মহিলাদের খেলাগুলি হবে সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাঠে। পুরুষদের ম্যাচগুলি হবে ইডেন গার্ডেন্সে। দু’টি গ্রুপেই মোট ৩১টি করে ম্যাচ হবে।
এই প্রতিযোগিতায় যে আটটি দল চূড়ান্ত হয়েছে তাদের মালিকরা হলেন— শ্রাচী স্পোর্টস, সার্ভোটেক পাওয়ার সিস্টেম, রাশমি গোষ্ঠী, অ্যাডামাস ইউনাইটেড স্পোর্টস অ্যাকাডেমি, সোবিসকো, জিডি মাইনিং সংস্থা, লাক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও শ্যাম স্টিল এবং প্রীতম ইন্ডাস্ট্রিজ ও জালান বিল্ডার্স।
আটটি দলের জন্য মোট ১৬ জন মার্কি ক্রিকেটারের নামও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। হারবার ডায়মন্ডের দুই মার্কি ক্রিকেটার হলেন মনোজ তিওয়ারি ও সুকন্যা পারিদা। লাক্স শ্যাম কলকাতা রয়্যাল টাইগার্সের মার্কি ক্রিকেটারদের দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক পোড়েল ও মিতা পাল। অ্যাডামাস হাওড়া ওয়ারিয়র্সের দুই মার্কি ক্রিকেটার হলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও ধারা গুজ্জর। মালদা সোবিসকো স্ম্যাশার্সের দুই মার্কি ক্রিকেটারদের দায়িত্বে রয়েছেন মুকেশ কুমার ও ঋষিতা বসু। সার্ভোটেক শিলিগুড়ি স্ট্রাইকার্সের দুই মার্কি ক্রিকেটার হলেন আকাশ দীপ ও প্রিয়াঙ্কা বালা। রাঢ় টাইগার্সের মার্কি ক্রিকেটারদের দায়িত্বে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ ও তিতাস সাধু। রাশমি মেদিনীপুরের দুই মার্কি ক্রিকেটার হলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও রিচা ঘোষ। মুর্শিদাবাদ কিংসের মার্কি ক্রিকেটারদের দায়িত্বে রয়েছেন সুদীপ ঘরামি ও দীপ্তি শর্মা।
প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের সফলতা কামনা করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সিএবি কর্তা ও ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা। এই প্রতিযোগিতা এ রাজ্যের ক্রিকেটের ছবি বদলে দেবে। অনেক আগেই এই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়া উচিত ছিল। এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার নিজেদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাবে। ফলে আগামী দিনে আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতাতেও সুযোগ পেতে পারে তারা। আমি আশা করব, যারা খেলবে, তারা এই মঞ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।”
ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামী বলেন, “এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলও লাভবান হবে। এখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক মহিলা ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলে। আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। এই উদ্যোগের জন্য সিএবি-কে ধন্যবাদ।”