উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে হামলা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভের জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৯২ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হল। সংসদের ইতিহাসে এই ঘটনা বেনজির বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন শুরুতে লোকসভার ৩৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন লোকসভার স্পিকার। এরপরেও রাজ্যসভাতেও একই ছবি দেখা যায়। সেখানেও ৪৫ জন সাংসদকেও সাসপেন্ড করা হয়।
এদিন শুরু থেকেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট, পরে ৩টা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তারপরও পরিস্থিতি তপ্ত থাকায় অধীর সহ ৩১ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার অনেক তৃণমূল সাংসদও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়। এছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন। ততদিন এই সাংসদরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও অমিত শার বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখানোয় ১৫ জন বিরোধী সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এদের সকলকেই গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।