গাজোল: গাজোলের গ্রামীণ চিকিৎসককে অপহরণ করে খুন কাণ্ডের কিনারা করল মালদা জেলা পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গাজোল থানা, কালিয়াচক থানা এবং মালদা জেলা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য অপহরণ করে খুন করা হয়েছে ওই গ্রামীণ চিকিৎসককে। ঘটনার সঙ্গে কালিয়াচক এলাকার দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যেবেলা পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধ্যামধ্যামা এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় গ্রামীণ চিকিৎসক শ্যামল মণ্ডলকে(৩৪)। রবিবার রাতেই গাজোল থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন তাঁর পরিবার। সোমবার সকাল বেলা মহদিপুর এলাকা থেকে শ্যামল বাবুর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপরই অপহরণ এবং খুন কাণ্ডের কিনারা করতে একযোগে তদন্তে নামে গাজোল থানা, কালিয়াচক থানা এবং মালদা জেলা পুলিশ। শ্যামল মণ্ডলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করার পর গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ হানা দেয় কালিয়াচক থানার যদুপুর নয়াগ্রামে। গ্রেপ্তার করা হয় ওই গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ আলি(৫৬) কে। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করে পুলিশ। আদালত এরশাদের নয় দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেয়। এরশাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারী অফিসার ওমর ফারুক। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা শেখ হাজিকুলের(৫৩) নাম। গতকাল রাতে হানা দিয়ে হাজিকুলকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাজিকুল বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা তুলেছিল শ্যামল মণ্ডল। কিন্তু কাউকে চাকরি দেয়নি। এমনকি টাকা ফেরতও দেয়নি। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশি হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এরপর গত রবিবার বেশ কয়েকজন মিলে শ্যামল মণ্ডলকে তুলে নিয়ে যায়। ওকে কোথায় মারা হয়েছে সেই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। রাত ১০টার দিকে আমি বস্তায় ভরা মৃতদেহ ফেলতে গিয়েছিলাম।‘ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।