হরিশ্চন্দ্রপুর: এক মূক ও বধির এবং মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি ধর্ষণের দুই মাস পরে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে অভিযুক্ত যুবক এবং তার বউ ও বৌদি মিলে ওই নির্যাতিতাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করায়। গর্ভপাতের পরেই ভয়ানকভাবে রক্তক্ষরণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই তরুণী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। এখনো তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত যুবক, তার স্ত্রী এবং বৌদির নামে থানায় অভিযোগ ডায়ের করা হয়েছে। গত ১৮ মে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর পরিবার। এদিকে অভিযোগের পর এক সপ্তাহ পার হলেও অভিযুক্তদের কেউ ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তরুণীর মা-বাবা। তবে অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ। তাদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২২-এর ওই তরুণী মূক ও বধির। অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক বিবাহিত। ঘটনাটি মাস দুয়েক আগের। বাড়িতে কেউ না থাকায় অভিযুক্ত রাস্তা থেকে তরুণীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর গর্ভপাতের জন্য তাকে গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান অভিযুক্তের স্ত্রী ও বৌদি। কিন্তু তারপর রক্তক্ষরণ শুরু হতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। তখনকার মতো সমস্যা মিটে গেলেও চারদিন আগে ফের রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর গ্রামীণ চিকিৎসকও পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অসুস্থ মেয়ের সঙ্গে কেউ এমন করতে পারে ভাবতেই পারছি না। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই। এদিকে ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন জেলা পরিষদের শিশু নারী ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন। তিনি বলেন, ‘খুব মর্মান্তিক ঘটনা। আমি চাই অভিযুক্তদের অবিলম্বে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক। এবং দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হোক।‘
