ইসলামপুর: দাড়িভিট কাণ্ডের তদন্তে ইসলামপুরে পৌঁছোল এনআইএ-র তদন্তকারী দল। শনিবার দলের সদস্যরা মৃত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের স্কুল চত্বরে যান। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। তবে প্রাথমিকভাবে খুবই অল্প সময়ের জন্য তাঁরা এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এনআইএ-র দাড়িভিটে আসা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি রাজেশ ও তাপসের পরিবার। প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাননি।
২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। অবরোধ থেকে শুরু করে ইট পাথর ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় দাড়িভিট হাইস্কুলের ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাজেশ ও তাপসের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়। ঘটনার পাঁচদিন পর তদন্ত ভার নেয় সিআইডি। সিআইডি তদন্তে জানা যায়, কোনও ভারি ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া গুলিতে রাজেশ, তাপসকে মারা হয়েছে। যদিও সিআইডি কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। সম্প্রতি হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানায়, তারা সিআইডি তদন্তের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয়। তারপরই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এনআইএ-র ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল গুলিতে নিহত রাজেশ সরকার, তাপস বর্মন ও জখম বিপ্লব সরকার ও তার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে। তাপস বর্মনের বাড়িতে বসেই এই কথাবার্তা হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তাও এনআইএ-র তদন্তে আসার কথা স্বীকার করেছেন।