উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার উত্তাল হইল দিল্লির যন্তর মন্তর এলাকা। এই দাবি নিয়ে এদিন নতুন সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অলিম্পিক থেকে এশিয়ান গেমস সহ নানা প্রতিযোগিতায় পদকজয়ী সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগট, সঙ্গীতা ফোগট, বজরং পুনিয়া। অভিযানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে আটক হন দেশের এই প্রথম সারির ক্রীড়াবিদরা। জোর করে ধরপাকড় চালিয়ে তাঁদের তুলে দেওয়া হল বাসে। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
https://twitter.com/MamataOfficial/status/1662743945426923521?s=20
দিল্লিতে ঘটা এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, ‘যেভাবে দিল্লি পুলিশ সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের আটক করেছে, তার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের দেশের চ্যাম্পিয়নদের এইভাবে হয়রান হতে হচ্ছে, এ আমাদের দেশের লজ্জা। ওদের যত শীঘ্র সম্ভব মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমি ওদের সঙ্গেই আছি।’ টুইটে মমতা আরও লেখেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি হল সহনশীলতা। একনায়কতান্ত্রিক শক্তি বিরুদ্ধ মতকে সহ্য করতে পারে না, তাদের জায়গাও দেয় না।’
দেশের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের অপসারণ ও গ্রেফতারির দাবিতে অবস্থানে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্রিজভূষণ দীর্ঘদিন ধরে মহিলা কুস্তিগিরদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। যদিও ব্রিজভূষণ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশি তদন্ত শুরু হলেও এখন শাসক দলের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করেনি। এর প্রতিবাদেই দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের প্রথম সারির বহু নামি ক্রীড়াবিদ।
আজ প্রতিবাদী কুস্তিগিররা নতুন সংসদের সামনে সুবিশাল ‘মহিলা সম্মান মহাপঞ্চায়েত’-এর ডাক দিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিশ যদিও তার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু কুস্তিগিরদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা এটা করবেনই। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, ‘আইন ভাঙার কারণেই তাঁদের আটক করা হয়েছে। উপযুক্ত বিধি মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’