অনির্বাণ চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ: ফের শিরোনামে কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) শ্রীমতি নদী। বেলাগাম মাটি চুরির অভিযোগে ক্ষিপ্ত সেখানকার বাসিন্দারা। এনিয়ে কালিয়াগঞ্জ থানায় (Kaliyaganj police station) অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু তারপরও কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ভয় আর ভক্তিই পরিবেশপ্রেমীদের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। নইলে কালিয়াগঞ্জের নদী বাঁচাও কমিটির সদস্যরা আজ মুখে কুলুপ এঁটেছেন কেন? অভিযোগ, বেআইনি কাজে তৃণমূল ও বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতারা কার্যত একই থালায় খান। তাঁরা সকলেই এলাকায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই ভয়ে মুখ খোলার সাহস পান না কেউই। আর ভূমিরাজস্ব দপ্তর ও পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে। তবে, সব ক্ষেত্রেই তাঁদের একটাই বক্তব্য, ‘তদন্ত চলছে।’ সেই তদন্ত কবে শেষ হবে, জানা নেই কারও।
কালিয়াগঞ্জের বিজেপি পরিচালিত বোঁচাডাঙ্গা ও ভাণ্ডার পঞ্চায়েতে দিনেদুপুরে চলছে অত্যাধুনিক মেশিন প্রয়োগে পুকুর ভরাটের কাজ। ব্লক ভূমি দপ্তরের আধিকারিক বোঁচাডাঙ্গার পুরিয়া এলাকায় মাটি ভরাট ও কালিয়াগঞ্জ শহরের গুদরীবাজার এলাকায় নদী ভরাটের অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করলেও লাভ হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
কিছুদিন আগে কালিয়াগঞ্জ থানায় পুকুর ও নদী ভরাটের অভিযোগে স্থানীয় ভূমি দপ্তরের আধিকারিক তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘পুলিশ তদন্তে নেমেছে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
কালিয়াগঞ্জ বোঁচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান মিনু সরকারের বক্তব্য, ‘পুকুরের মালিক ও ওই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে ডাকা হয়েছিল। স্থানীয় বিএল অ্যান্ড এলআরও’র সঙ্গে কথা হয়েছে বলে ওই পুকুরের মালিক দাবি করেছেন। তবে প্রধান ভূমিরাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি বলে জানান।’ তবে এবিষয়ে তৃণমূলের তরফে কারও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।