উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দিল্লি পুলিশের (Delhi police) হাতে ধরা পড়ল লস্কর-মডিউলের (Lashkar module) তিন জঙ্গি। জম্মু পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ওই মডিউলের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য পলাতক। তাদের খোঁজেই দেশের নানা প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চলছিল। দিল্লি পুলিশের দাবি, লস্কর জঙ্গি সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী (retired Indian Army)।
জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের হাতে প্রথম ধরা পড়ে রিয়াজ আহমেদ নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গি। গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এই রিয়াজ ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। অবসরের পর সে কীভাবে লস্কর গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সে কুপওয়াড়ার লস্কর-মডিউলের অন্যতম সদস্য বলেই মনে করা হচ্ছে। তার সঙ্গে আরও দুই জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। এই দুজন হলেন খুরশিদ আহমেদ রাথার ও ঘলাম সারওয়ার রাথার। এই দুজনও কুপওয়াড়ার লস্কর-মডিউলের হ্যান্ডলার বলেই দাবি দিল্লি পুলিশের।
দিল্লি পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রিয়াজ ও ধৃত দু’জন নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রশস্ত্র পাচারের কাজ করত। লস্করের জন্য আসা আগ্নেয়াস্ত্র সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল তাদের উপরে। পাশাপাশি, পাক লস্কর গোষ্ঠীর হ্যান্ডলারদের জম্মু-কাশ্মীরে অনু্প্রবেশ করিয়ে আশ্রয় দেওয়ার কাজও করত। ধৃতদের জেরা করে এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আই এসের সঙ্গে পাল্লা দিতে ও নিজের শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষছে লস্কর-ই-তৈবা। কারণ বিশ্বের বড় অংশে জেহাদি আন্দোলনের রাশ এখন আইএসের হাতে। ভারতেও প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে আইএস।বাংলাদেশকেও নিশানা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব জানান দিতে নাশকতা ঘটাতে চাইছে লস্কর জঙ্গিরা। যাদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। কিছুদিন আগেই জম্মু পুলিশ ও সেনাবাহিনী এই মডিউলের পর্দা ফাঁস করে।