বক্সিরহাট: রায়ডাক নদী (Raidak River) থেকে বালি-পাথর চুরির (Bakshirhat sand theft) অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার (Arrest) করল বক্সিরহাট থানার পুলিশ (Bakshirhat police)। পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ডাম্পার, দুটি লরি, দুটি যন্ত্রাংশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বুধবার তুফানগঞ্জ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে তুফানগঞ্জ-২ (Tufanganj) এর রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক নদী সংলগ্ন মধুরভাষা এলাকায় অভিযানে নামে বক্সিরহাট থানার পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ-২ এর মধুরভাষা, খাগড়িবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় রায়ডাক নদী থেকে অবাধে বালি-পাথর চুরি করা হচ্ছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এক দাপুটে নেত্রীর ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মধুরভাষা এলাকায় বালি-পাথর চুরির কারবার চালিয়ে আসছে। সেই অবৈধ খাদানে বিনিয়োগ করেছেন শাসকদল ঘনিষ্ঠ কোচবিহারের তল্লিগুড়ির বাসিন্দা তথা মারুগঞ্জ এলাকার এক পাথরভাঙা মিল ব্যবসায়ীও। দিনের পর দিন ধরে রায়ডাক নদী থেকে বালি-পাথর তুলে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ, তৃণমূলের মদত থাকায় সেখানে অভিযান চালানোর সাহস দেখায়নি প্রশাসন। যদিও তৃণমূলের তরফে এবিষয়ে মদত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গত সোমবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বোচামরি চৌপথি এলাকায় ওভারলোড ডাম্পার আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। সেই ঘটনার পরই কার্যত নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
এবিষয়ে তুফানগঞ্জ-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক স্বপন কুমার হাঁসদাকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তুফানগঞ্জের এসডিপিও বৈভব বাঙ্গার জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।