মাথাভাঙ্গা: ন্যাক-এর মূল্যায়নে শুক্রবার বি প্লাস গ্রেড পেল মাথাভাঙ্গা কলেজ। একইদিনে কলেজে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না এবং অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা নিয়মিত কলেজে আসছেন না, এমনকি কলেজের অধ্যক্ষও অনুপস্থিত থাকেন, এই অভিযোগ তুলে কলেজে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপি।
ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)-এর ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক) দেশে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিভিন্ন নির্ধারিত মাপকাঠিতে বিচার করে র্যাংক দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মোট আটটি স্তরে র্যাংকিং দেওয়া হয়। সেগুলি যথাক্রমে এ ডাবল প্লাস, এ প্লাস, এ, বি ডাবল প্লাস, বি প্লাস, বি, সি এবং ডি।মাথাভাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে ন্যাকের প্রথম পর্যায়ে মাথাভাঙ্গা কলেজের গ্রেড ছিল সি। ২০২৪-এ দ্বিতীয় পর্যায়ে তা বেড়ে হয়েছে বি প্লাস। এটা নিঃসন্দেহে কলেজের উন্নতির লক্ষণ। এর ফলে মাথাভাঙ্গা কলেজ শিক্ষা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইউজিসির কাছে অতিরিক্ত অর্থবরাদ্দের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবে। ইউজিসি কলেজের প্রয়োজনীয়তা বিচার-বিশ্লেষণ করে অর্থ অনুমোদন করবে।
মাথাভাঙ্গা কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, এবছর কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (সিজিপিএ)-এ ৪ পয়েন্টের মধ্যে মাথাভাঙ্গা কলেজের প্রাপ্তি ২.৫৮ পয়েন্ট। এই ফলাফল এসেছে কলেজের পরিকাঠামো লার্নিং রিসোর্স ফিডব্যাক মেকানিজম ইনস্টিটিউশনাল ভ্যালুজের ওপর।এদিন অবশ্য টিএমসিপির পক্ষ থেকে কলেজে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। টিএমসিপি নেতা রহিত বস্তাদার অভিযোগ করেন, ‘কলেজে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। অধ্যক্ষ সহ অধিকাংশ শিক্ষক অনুপস্থিত থাকেন। ফলে ছাত্রছাত্রীরাও ক্লাসে আসছে না। এদিনও কলেজের অধ্যক্ষ অনুপস্থিত ছিলেন। কলেজের দায়িত্বে ছিলেন টিআইসি চঞ্চল মণ্ডল।’ কলেজের অব্যবস্থার প্রতিবাদে শনিবার পথ অবরোধের হুমকি দিয়েছে টিএমসিপি।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি অসুস্থ, তাই আজ কলেজে যাইনি। কলেজের ১৭-১৮ জন টিচার খাতা দেখা ও স্ক্রুটিনির জন্য ইউনিভার্সিটিতে ডিউটিতে রয়েছেন। এতদিন ন্যাক-এর জন্য টিচারদের ছাড়তে পারিনি। দু-তিনজন মেডিকেলে আছেন, চার-পাঁচজনের অফ ডে ছিল। তবে সব ডিপার্টমেন্ট খোলা ছিল। একটা-দুটো ডিপার্টমেন্টে টিচাররা না আসতে পারেন। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যত কলেজ রয়েছে সেগুলিতে ক্লাস শুরুর আগে থেকেই মাথাভাঙ্গা কলেজে স্পেশাল ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।’