উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার নিল সিবিআই। সোমবার খড়্গপুর থেকে সেই তদন্ত শুরু করলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সেখানে সুপারভাইজার ট্রেনিং সেন্টার (এসটিসি) থেকে শুরু হয় তদন্ত। এই তদন্তের স্বার্থে কয়েক জনকে খড়্গপুরে ডেকে পাঠিয়েছেন এই কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে ওডিশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার এলাকায়। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস সরাসরি ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িকে। করমণ্ডলের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি ডাউন লাইনেও ছিটকে পরে। সেই বগিতে ধাক্কা মারে হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেস। এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ২৭৫ জন যাত্রী। আহত কমপক্ষে ১১০০। ঘটনার বীভৎসতার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। রেলমন্ত্রীর নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে শুরু হয় তদন্তের কাজ।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আগেই জানিয়েছিলেন, বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করবেন তাঁরা। সেই মতো তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। সোমবার খড়্গপুর থেকে সেই তদন্ত শুরু করলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, বালেশ্বর, বাহানগা বাজার এবং ভুবনেশ্বর রেল স্টেশনের কয়েক জন আধিকারিককে সোমবার খড়্গপুরে আসতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কিছু যাত্রীকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। তার পর কী থেকে দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই। পরে দুর্ঘটনাস্থলেও যাবেন গোয়েন্দারা।
রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মানুষের হাত। সে দিন সন্ধ্যায় তিনি জানান, সরকারের কাছে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল। তবে কী করমণ্ডল দুর্ঘটনার পেছনে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা দেখছে রেল? উঠেছে প্রশ্ন।