ফরাক্কা: চেন্নাইয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার যুবক প্রেমিক ঘোষ। কিন্তু আর ফেরা হল না। ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। সোমবার রাতে বেওয়া-১ পঞ্চায়েতের বাঁকা গ্রামে পৌঁছোল ২২ বছরের যুবকের নিথর দেহ। দেহ ফিরতেই কান্নার রোল গ্রামজুড়ে।
চেন্নাইয়ে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন প্রেমিক। যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর একদিন নিখোঁজ ছিলেন। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা প্রেমিককে খুঁজতে ওডিশায় ছুটে যান। অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর নিথর দেহ। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গতকাল রাতে ফরাক্কায় নিয়ে আসা হয় প্রেমিকের দেহ। গতকাল যুবকের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক, আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী, ব্লক সভাপতি অরুনময় দাস, বেওয়া ২ অঞ্চল সভাপতি বরুন ঘোষ সহ অন্য কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওডিশার বালাসোরের বাহানগা বাজারের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে চলতে-থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ডাউন লাইনে ও নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। সেই লাইন দিয়ে তখন উলটো দিক দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরাগুলি গিয়ে পড়ে ডাউন লাইনের উপর। বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন ট্রেনটি সেই বেলাইন কামরাগুলির উপর এসে পড়ে। হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হাজার অতিক্রান্ত। সরকারি তথ্য মোতাবেক, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত ৭৩ জনের দেহ ফিরেছে বাংলায়। এখনও অন্তত ১২০ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।