উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের ডেরায় হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে এই তৃণমূল নেতার এক আত্মীয়ের ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর দেশি-বিদেশি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক। তল্লাশিতে সিবিআই তলব করেছিল এনএসজিকে। রোবটের সাহায্যে তল্লাশি চালানো হয় ঘটনাস্থলে। সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানার ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসকদল। ভোটের দিন কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই হানা দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ভোটের সময় বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানায় তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি নির্দেশিকা দিক কমিশন।
র্যাশন দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দেশখালির বেতাজবাদশা শেখ শাহজাহান। এই তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তারের পর থেকে বেশ কয়েকবার সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছে ইডি-সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতার এক আত্মীয় জনৈক আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে উদ্ধার হয় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর বিস্ফোরক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই কমিশনকে এই চিঠি দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিনিয়ত তৃণমূলকে ‘টার্গেট’ করছেন ভোটের সময়। সিবিআইকে বিজেপি পরিচালনা করছেন। সন্দেশখালিতে অভিযান তার আর একটি প্রমাণ। কী ভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায় সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে, সেই চেষ্টা করছে কমিশন। ভোটের সময় কেন্দ্রীয় সংস্থার বার বার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করা হলেও কমিশন তা দেখেও দেখেনি। তার মধ্যে শুক্রবার যখন বাংলার তিন লোকসভা আসনে ভোট হচ্ছে, তখন ‘নির্লজ্জ ভাবে’ সিবিআই ‘সন্দেশখালির ফাঁকা জায়গায়’ অভিযান চালিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরে তারা অতিরিক্ত আধিকারিক, বম্ব স্কোয়াড এবং এনএসজি-কে ডেকেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে একটি বাড়ি থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
তৃণমূল জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি রাজ্যের বিষয়। কিন্তু, সিবিআই রাজ্য সরকার কিংবা পুলিশকে না-জানিয়েই সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছে। বরং পুলিশকে জানানো হলে তাদের যে বম্ব স্কোয়াড রয়েছে, তা ওই অভিযানে সাহায্য করতে পারত। কিন্তু সে সব কিছু করা হয়নি। পুলিশের কোনও সহায়তা চাওয়া হয়নি। পুলিশ প্রশাসন জানলো না, কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কাছে আগাম খবর কী করে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসকদল। কীভাবে সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। তাই এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।