উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল শিক্ষকদের ছুটি (Teachers Holiday) নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল স্কুলশিক্ষা দপ্তর (School Education Department)। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সব স্কুল এবং মাদ্রাসার প্রধানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে প্রধান শিক্ষকের আগাম অনুমতি ছাড়া স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা (School Teacher) ছুটি নিতে পারবেন না বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। এমনকি, কেন ছুটি নিতে চাইছেন শিক্ষকরা? এই প্রশ্নে উপযুক্ত কারণ এবং নথি জমা করারও নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। বিষয়টি নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে।
ছুটি ছাড়াও স্কুলের পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহার সহ একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, ক্লাসে পড়ানোর সময় কোনও শিক্ষক যেন মোবাইল ব্যবহার না করেন। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে প্রধান শিক্ষককে।
গত ১৪ মার্চ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার সময় হঠাৎ ফণীন্দ্রনাথ দেব ইনস্টিটিউশন পরিদর্শন করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেখানে ঢুকে বিচারপতি জানতে পারেন, এই স্কুলে ৪৫ জন শিক্ষক। তার মধ্যে ১২ জন শিক্ষক–শিক্ষিকা সেদিন অনুপস্থিত। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। স্কুলে শিক্ষক না এলে পড়াশোনা লাটে ওঠার পাশাপাশি, স্কুলছুট বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা করতে থাকেন বিচারপতি। এরপরই এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুলের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যা নিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় স্কুল। আর গোটা বিষয়টি কানে যায় স্কুলশিক্ষা দপ্তরের। আর তারপরই স্কুল শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে কড়া অবস্থান জারি করা হয়।