মুরতুজ আলম, সামসী: তৃণমূলের নির্বাচনি কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের হাত থেকে জোর করে মাইক কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সামসীর রতনপুরে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসির ছেলে তথা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ রিয়াজুল করিম বকসির বিরুদ্ধে। সোমবার রতনপুরে নির্বাচনি কর্মীসভায় এই ঘটনাকে ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। বিরোধীদের কটাক্ষ, এতে নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলই প্রকাশ্যে এল। যদিও সেসবে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
এদিন উত্তর মালদার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রসূন, রহিম ছাড়াও জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা এক এক করে বক্তব্য রাখছিলেন। কিন্তু স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তথা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক বক্তব্য রাখতে গেলেই বিপত্তি ঘটে।
অভিযোগ, ফজলুলের বক্তব্য চলাকালীন রহিম বকসির ছেলে রিয়াজুল বার বার তাঁকে বক্তব্য ছোট করার কথা বলছিলেন। কিন্তু সেকথায় কোনও কান না দিয়ে ফজলুল তাঁর বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর বক্তব্য চলাকালীন হঠাৎই রিয়াজুল এসে ফজলুলের মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। কলারও ধরেন বলেও অভিযোগ। এরপর ফজলুল মাইক্রফোন মাটিতে ফেলে ভেঙে দেন।
ঘটনায় হতবাক হয়ে যান কর্মীসভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণের জন্য কর্মীসভা বন্ধ থাকে। এরপর ফজলুলের কিছু অনুগামী রিয়াজুল করিম বকসিকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রিয়াজুল ফজলুলের হাত ধরে তাঁর ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। যদিও এতে রাগ কমেনি শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষর। তিনি বলেন, ‘বক্তব্য চলাকালীন রিয়াজুল যে আমার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেবে, ভাবতেই পারিনি। ও এত সাহস পেল কোথা থেকে? ঘটনাটি দলের হাইকমান্ডকে জানানো হবে।’
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসির সাফাই, ‘এদিন সামান্য বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা দলীয়ভাবে বসে মিটমাট করা হয়েছে। দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।’