মানিকচক: ১৫ দিন পরও অপহৃতা নাবালিকার কোনও হদিস বের করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে মানিকচক পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মালদা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নাবালিকার বাবা ও মা।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস আগে নাবালিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় পাশের গ্রামের যুবক শেখ রুস্তম। যুবকের প্রেমের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে নাবালিকা। গত দুই সপ্তাহ আগে আবারও অভিযুক্ত যুবক শেখ রুস্তম নাবালিকাকে রাস্তায় একা পেয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে বাবা-মাকে সব কথা জানায়। এরপরই নাবালিকার বাবা মুকতার মিয়াঁ অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি গিয়ে যুবককে এই বিষয়ে সাবধান করে আসে। অভিযোগ, গত ১৬ মার্চ নাবালিকা বাড়ির বাইরে জল কল থেকে জল নেওয়ার সময় হঠাৎই অভিযুক্ত যুবক শেখ রুস্তম ও তার এক বন্ধু মোটরসাইকেলে করে এসে জোর করে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে ১৫ দিন কেটে গেলেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাবালিকাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মানিকচক পুলিশের কাছে অপহরণকারী শেখ রুস্তম সহ তার সহযোগীদের নামে অভিযোগ দায়ের করে তার মা-বাবা। কিন্তু ১৫ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নাবালিকাকে খুঁজে পাইনি মানিকচক থানার পুলিশ। মানিকচক পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ জানিয়ে মালদা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ বাবা ও মা।
মুসকানের বাবা মুকতার মিয়াঁ বলেন, ‘আমার মেয়েকে খুঁজতে কোনও ব্যবস্থায় গ্রহণ করেনি মানিকচক থানার পুলিশ। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অপহরণকারী শেখ রুস্তম মোবাইল মারফত নিজেদের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বারবার অভিযুক্তের মোবাইল লোকেশনের জন্য আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। উলটে আমাকেই আমার অপহৃতা মেয়ের খোঁজ নিতে বলছে। যদি আমি আমার মেয়েকে খুঁজে বের করি তাহলে পুলিশ কি কাজের জন্য আছে। আমি চাই আমার মেয়েকে ফিরে পেতে। তাই মালদা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছি।‘