নাগরাকাটা: গত রবিবার জলপাইগুড়ির ভয়ংকর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সেরাতেই পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর থেকে এখন চালসায় (Chalsa) আস্তানা তাঁর। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে তাঁর চালসাতেই থাকার কথা। এই সুযোগে এখন ভরা চৈত্রেও ‘পৌষ মাস’ এলাকার ব্যবসায়ীদের। গ্রাহক সংখ্যার বাড়বাড়ন্ত দেখে একাধিক খাবারের দোকান তো রীতিমতো দিদি স্পেশাল মেনু চালু করে দিয়েছে। ব্যবসাও হচ্ছে ভালো। ফলে সব মিলিয়ে খুশি ওই ছোট দোকানদাররা। এই তালিকায় শুধু খাবারের দোকানই নয়। রয়েছে মুদিখানার সামগ্রী, চা, এমনকি লটারির দোকানও।
হঠাৎ কী কারণে ব্যবসা বাড়ল চালসার বেসরকারি রিসর্ট সংলগ্ন চালসা ভিউ পয়েন্ট (Chalsa View Point) থেকে শুরু করে পাদ্রি কুঠি এলাকায়? স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এর মূলে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ-প্রশাসনের কর্মী সহ তাঁকে যদি দেখতে পাওয়া যায় এমন অত্যুৎসাহীদের ভিড়। আসছেন চালসা সহ আশপাশের বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকরাও। রাত পর্যন্ত জনসমাগম লেগেই রয়েছে সেখানে। ফলে এলাকার দোকানদারদের বিক্রি বেড়ে এখন দ্বিগুণ।
বেসরকারি রিসর্টটির ঠিক উলটো পাশেই রয়েছে পাদ্রি কুঠির বাসিন্দা তরঙ্গ কুমারের গালামাল তথা মনিহারি সামগ্রীর দোকান বুধবার তাঁর অবর্তমানে বেচাকেনা সামলাচ্ছিলেন তরঙ্গর ভাই অনুজ। তিনি বলেন, ‘বিক্রি আগে যেটা ১০০ টাকা হত মুখ্যমন্ত্রী এখানে থাকাতে ৩০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। আমরা খুব খুশি।’ বিনীতা সন্ন্যাসী নামে এক চায়ের দোকানি বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যদি এখানেই থেকে যেতেন কী ভালোটাই না হত!’ এদিকে রীতিমতো ‘দিদি স্পেশাল’ মেনু চালু করে দিয়েছেন চালসা ভিউ পয়েন্টের আরেক খাবারের দোকানি শাহরুখ মহম্মদ। মেনুতে থাকছে চার পিস রুটি ও চার পিস চিলি চিকেন। দাম ১০০ টাকা। তিনি বলেন, ‘এই মেনু আমি বিক্রি করতাম না। গত ২ তারিখ থেকে চালু করেছি। দিদি স্পেশালের পাশাপাশি চাওমিন, মোমোও বেশ ভালোই বিকোচ্ছে।’
গত বছরের ২৬ জুন চালসার ওই বেসরকারি রিসর্টে এসেই বিকেলে লাগোয়া মঞ্জু লামার দোকানে এসে মোমো বানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দোকানে তো সকাল থেকেই ঠাসা ভিড় বেশিরভাগ ক্রেতাই পুলিশকর্মী। দেদার বিক্রি হচ্ছে মোমো, চাওমিন। মঞ্জু বলছেন, ‘ফের যদি মুখ্যমন্ত্রী এসে মোমো বানাতেন খুব ভালো হত। দিদি এখানেই থেকে যাক।’