পারমিতা রায়, শিলিগুড়ি: রোজ ডে(Rose Day) দিয়ে শুরু হয় ফেব্রুয়ারির মাসের ভ্যালেনটাইন সপ্তাহ(Valentine Week)। শহরজুড়ে লাল, হলুদ, সাদা গোলাপ তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে এবার নজর কেড়েছে বাহারি ফিউশন গোলাপ।
কী এই ফিউশন গোলাপ? এক্ষেত্রে একই ফুলের পাপড়িতে একাধিক রং থাকে। অনেকটা যেন একই অঙ্গে বহু রূপ। একরঙা গোলাপের বদলে তাই একাধিক রংয়ের গোলাপ নজর কাড়ছে অনেকেরই। যেমন ধরা যাক তুষার বসুর কথা। এবছর বান্ধবীকে লাল গোলাপের পরিবর্তে সাদা ও গোলাপি, এই দুটি রংয়ের গোলাপ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তুষারের। বাজারে গিয়ে দেখলেন, ফিউশন রঙের গোলাপে সেজে উঠেছে ফুল বাজার। সেসবের মধ্য থেকে বেছে নিয়ে সাদা ও গোলাপি রঙের ফিউশন গোলাপ(Fusion Rose) কিনে নিলেন তুষার। তাঁর কথায়, ‘প্রতিবারই তো লাল গোলাপ দিয়ে থাকি। তবে এবার একটু আলাদা কিছু করব ভেবেছি। তাই লালের পরিবর্তে ফিউশন গোলাপের তোড়া দিচ্ছি।’ তুষারদের মতো ক্রেতাদের কথা ভেবেই লাল ছাড়াও দু’তিনটি রং মেশানো ফিউশন গোলাপ বেশি করে মজুত রাখছেন বিক্রেতারা।
ফিউশন গোলাপের পাশাপাশি এবছর রোজ ডে’র আগে বাজার ছেয়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুর ডাচ গোলাপে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবছর স্থানীয় গোলাপের পরিবর্তে ডাচ গোলাপের উপরেই বেশি ভরসা করছেন বিক্রেতারা। অনেকেই প্রিয়জনের জন্য মঙ্গলবারই নানা ধরনের গোলাপ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। রোজ ডে উপলক্ষ্যে গোলাপ বিক্রির ভালো সাড়া পাওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।
হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন এক ফুল বিক্রেতার বিজন দাস বলছিলেন, ‘এবছর আমি গত বছরের থেকে অনেক বেশি গোলাপ এনেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দিনটি উদযাপনের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ বাড়ছে। তাই আমরাও তাঁদের চাহিদামতো গোলাপ মজুত করছি।’
ক্যালেন্ডারের হিসেবে রোজ ডে বুধবার। তবে তার একদিন আগে থেকেই বাজারে গোলাপের কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি(Siliguri) ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সৌমেন দাস বলেন, ‘লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, এমনকি নীল রঙের গোলাপেও সেজে উঠেছে গোটা বাজার। যা বুঝতে পারছি, এবছর ব্যবসা ভালোই যাবে।’
সাধারণ দিনে দোকানে দুই হাজারের মতো গোলাপ রাখলেও রোজ ডে উপলক্ষ্যে পাঁচ থেকে আট হাজার গোলাপ রাখছেন বিক্রেতারা। ৩০ থেকে শুরু করে ৬০ টাকা দরে একেকটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের ফুলের বোকেও রয়েছে। এদিন এসএফ রোডে ফুল কিনতে এসেছিলেন সুদীপ্তা সরকার। বলছিলেন, ‘প্রিয় মানুষটিকে বুধবার সারপ্রাইজ দেব বলে এদিনই ফুল কিনে নিয়েছি।’