প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ আর মাত্র ৪৮ ঘন্টা। শুরু হতে চলেছে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা। বাংলার পাশাপাশি রাজধানী নয়াদিল্লিতেও শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার কাউন্ট ডাউন। সেজে উঠেছে বাঙালি অধ্যুষিত চিত্তরঞ্জন পার্ক এবং অন্যান্য অঞ্চল। কিন্তু এর মধ্যেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ চিত্তরঞ্জন পার্কের বাসিন্দাদের মুখে। সি আর পার্কের ই-ব্লকের সার্বজনীন পুজো কমিটির চৌহদ্দির মধ্যে ধরা পড়ল এক অতিকায় অজগর। এদিন সকাল সকাল পুজোর সামগ্রী জোগাড় করতে গিয়ে স্থানীয় পথচারীদের চোখে পড়ে গাছের ডালে ঝুলছে একটি অজগর। নিমেষের মধ্যে ছড়ায় আতঙ্ক। সাপটি ভয় পেয়ে একটি গাড়ির বনেটের ভিতর ঢুকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বনবিভাগে। দ্রুত অকুস্থলে ছুটে আসেন উদ্ধারকারী দল। এর পর কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় টানাহেঁচড়ার পর অক্ষত অবস্থায় অজগরটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পার্শ্ববর্তী ওখলা ন্যাশনাল স্যাংচুয়ারিতে। সাপটি ধরা পড়তেই আতঙ্ক মুক্ত হন পুজো উদ্যোক্তারা।
এদিকে সাপ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে আসেন, স্থানীয় আপ বিধায়ক ও মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। তাঁরা নিজে অঞ্চল পরিদর্শনে করেন, কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। সিআর পার্কে বাঁদরের দৌরাত্ম্য কম নয়, কিন্তু এত বড় পাইথন আগে কখনও দেখা যায়নি, জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরেই পুজোর মুখে অঞ্চলবাসীর সুরক্ষা ও বন্যাপ্রাণ রক্ষায় দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ সরাসরি চিঠি লেখেন অতিরিক্ত চিফ কনসারভেটর অফ ফরেস্ট সুনীশ বক্সীকে। তিনি বলেন, বাঙালি অধ্যুষিত সি আর পার্কে এই মুহূর্তে শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে সেখানে। পুজোর মুখে তাঁদের সকলের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বনকর্মীদের বিশেষ দল পাঠিয়ে গোটা অঞ্চল জরিপ করা হোক যাতে বন্যপ্রাণ বিষয়ক কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, এর সঙ্গেই পুজোর মরশুমে অঞ্চলে বাঁদরদের উপদ্রব কমাতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারি বনদপ্তরের কাছে আর্জি জানান অঞ্চল বিধায়ক ও মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ।