নাগরাকাটা: দোকানের (Shop) গুদামে ভয়াবহ আগুন (Terrible Fire)। পুড়ে ছাই মজুত সামগ্রীর একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার নাগরাকাটা বাজারের স্টেশন রোডে (Station Road)। স্থানীয় বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ একজোট হয়ে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। এরপর মালবাজার থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী তারকেশ্বর চৌধুরী। তিনি বলেন, “গুদামে বিস্কুট, সাবান, মশলাপাতি, ঘি সহ নানান ধরনের খাদ্যসামগ্রী মজুত থাকে। আমাদের বেশ কিছু কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটরশিপ রয়েছে। মজুত সামগ্রীর মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বের করা সম্ভব হয়েছে।” এদিনের ওই অগ্নিকাণ্ডের পর নাগরাকাটায় একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি ফের জোরালো হয়েছে। বর্তমানে ডুয়ার্সের চা বলয়ের অন্যতম এই বিধানসভা কেন্দ্রটিতে দমকল (Fire Brigade) কেন্দ্র নেই। ভরসা একমাত্র ব্লক সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের মালবাজারের দমকল কেন্দ্রটি।
এদিন সকালে যেই গুদামে আগুন লাগে তার আশপাশেই রয়েছে অনেক দোকান। ফলে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রথমে কালো ধোঁয়া গুদাম থেকে বের হতে দেখা যায়। সেসময়ে পাশেই পানীয় জল নিতে এসেছিলেন অনেকে। গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয়রা ওই জল (Water) দিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়ার কিছুক্ষণ পর দমকল আসেন কর্মীরা । ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন তাঁরা।
ওই গুদামের পাশেই থাকা এক র্যাশন (Ration) দোকান ডিলার নিতাই দাস বলেন, “সঠিক সময়ে সকলে মিলে হাত লাগানোয় আরও বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।” রমেশ শর্মা নামে নাগরাকাটা বাজারের অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, “এত বড় এলাকা। অথচ আজও দমকল কেন্দ্র হল না। মাঝে মাঝেই এমন বিপর্যয় ঘটার পর মালবাজার থেকে দমকল পৌঁছতে যে সময় লাগে সেটুকুও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।”