শিলিগুড়ি: রাজগঞ্জের (Rajganj) হরিহর আশ্রমকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল থামার আপাতত কোনও লক্ষণ নেই। অভিযোগ, পালটা অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবারও সরগরম থাকল এলাকা। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আশ্রমের আওতায় থাকা শত বিঘার উপর জমি ও সম্পত্তি। আশ্রমের তরফে এক প্রতিনিধিদল আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির (Ambari Police Station) বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের (Siliguri police commissioner) দ্বারস্থ হয়। যদিও কমিশনার সি সুধাকরের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়নি। পরিবর্তে কমিশনারেটের অন্য এক আধিকারিকের কাছে তাঁরা বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর কমিশনারের অফিস থেকে তাঁদের ভোরের আলো থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। যদিও এদিন পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর ফোন না ধরার কারণে পুলিশের তরফে বক্তব্য মেলেনি।
কমিশনার অফিস থেকে বেরিয়ে এদিন মনুয়াগঞ্জ হরিহর আশ্রমের তরফে আশ্রম কমিটির সভাপতি সুভাষ চক্রবর্তী, শ্যামল মজুমদার সহ কয়েকজন ভোরের আলো থানায় যান। সুভাষের অভিযোগ, ‘পুলিশের তরফে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে বলা হয়েছে। আমাদের এতে মত নেই।’ কমিটির তরফে সুভাষ, শ্যামল সহ স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, হরিহরানন্দের প্রয়াণের পর থেকে একটি চক্র আশ্রমের জমি ও সম্পত্তি দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। শ্যামলের বক্তব্য, ‘সন্ন্যাসীদের পরিবার হয় না বলেই জানি, হরিহর মহারাজেরও সেরকম কেউ ছিল না। তবে কীসের ভিত্তিতে তাঁর রেখে যাওয়া আশ্রমের জমির উত্তরাধিকারী বলে দাবি করা হচ্ছে?’
এই আশ্রমের জমি দখলকে কেন্দ্র করে গত জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ মারামারির ঘটনা ঘটে। সেদিন সন্ধ্যাতেই কয়েকজনের বিরুদ্ধে আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামল। একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার শ্যামল, সুভাষ সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ওই ফাঁড়িতেই অভিযোগ জানায় অপরপক্ষ। এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে একপক্ষের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায়।