কোচবিহার: কালীপুজোয় সম্প্রীতির নজির। কোচবিহার শহরের নর্থ বাঘাযতীন ক্লাবের কালীপুজোয় প্রতিবারের মতো এবারও উঠে এসেছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের সেই চিরাচরিত ছবিটাই। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষের নাম সঞ্জীব সরকার। সহকারী কোষাধ্যক্ষ বাবলু আহমেদ। নিউটাউন আশ্রম রোডের মসজিদ চৌপথির রাস্তার একপাশে রয়েছে মসজিদ। তার ঠিক উলটো দিকেই গড়ে উঠছে কালীপুজোর প্যান্ডেল। প্রতিবছরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবি দেখে অভ্যস্ত আশ্রম রোডের বাসিন্দারা। ভোরে একদিকে যখন ঢাকের আওয়াজ দিয়ে কালীপুজো হচ্ছে। তখন পাশের মসজিদ থেকে ভেসে আসছে নমাজের সুর। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সব তখন মিলেমিশে একাকার। হিন্দু-মুসলিম প্রত্যেকে একসঙ্গে পুজোর আয়োজন করেন। প্রতিমা বায়না করা থেকে শুরু করে পাড়ায় চাঁদা তোলা সব কাজ চলছে একসঙ্গেই।
পঞ্চাশ বছরের বেশি পুরোনো নর্থ বাঘাযতীন ক্লাবের এই কালীপুজো। এবারের পুজোর বাজেট রয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। পুজো উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মকাণ্ড রয়েছে। সুদৃশ্য মণ্ডপ তৈরির পাশাপাশি চন্দননগরের আদলে আলোকসজ্জা করা হবে। নিয়মনিষ্ঠা মেনেই প্রতি বছর পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক পার্থ মজুমদার জানান, সবাই মিলেমিশে পুজোর আয়োজন করা হয়। তাঁদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। জাহাঙ্গির হোসেন নামে পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা জানান, শুধু চাঁদা সংগ্রহ করাই নয়। পুজোর প্যান্ডেল, প্রতিমার বায়না, প্রতিমা আনা, পুজোর আয়োজন, সবই একসঙ্গে করেন তাঁরা। ছোটো থেকেই এসব করে বড় হয়েছেন জাহাঙ্গিরবাবুরা। এখানে মন্দির-মসজিদ পাশাপাশি রয়েছে। নামাজের সময় মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। আবার নামাজ শেষে মন্দিরে পুজোয় যোগ দেন। বাড়ি বাড়ি পুজোর ভোগ দিয়ে আসা, প্রসাদ বিতরণ সবেতেই হাত লাগান তাঁরা।