বহরমপুরঃ সরস্বতী পুজোর দুপুরে এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। বুধবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার চারাতলা এলাকাতে। মৃতরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত তিন ব্যক্তির নাম মহম্মদ হাসানুর রহমান (২৯), স্নেহানুরনেশা ইসলাম (২৬) এবং তাঁদের ছেলে রাহাত রহমান (৫)। তাঁদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার গোপীপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়ক ধরে হাসানুর স্কুটিতে স্ত্রী এবং ছেলেকে চাপিয়ে বহরমপুরে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই একটি খালি ডাম্পার সজোরে ওই স্কুটিতে ধাক্কা মারে। ডাম্পারের ধাক্কায় স্কুটি থেকে ছিটকে পড়ে যান তিনজনই। এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
এই ঘটনার পরই স্থানীয়রা বহরমপুর-কান্দি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পথ দুর্ঘটনা ও অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বহরমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখান থেকে দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সেই সঙ্গে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ মুক্ত করে পুলিশ।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘাতক ডাম্পারটিতে কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। এবং ঘারগাড়িটি বেপরোয়া গতিতে কান্দির দিকে যাচ্ছিল। স্কুটি চালক ঠিক পথে চললেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটি স্কুটিতে সজোরে ধাক্কা মারে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই পথ দিয়ে নিয়মিত বেআইনিভাবে মাটি এবং বালি ওভারলোড করে ডাম্পার যাতায়াত করে। পুলিশ সব কিছু দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই দুর্ঘটনার পর এলাকাতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন এবং রাস্তাতে “স্পিড ব্রেকার” বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
বহরমপুর থানার এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যে ঘাতক ডাম্পারটিকে আটক করা হয়েছে। যদিও তার চালক পলাতক। দুর্ঘটনাতে মৃত তিনজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।