শিলিগুড়ি: গয়না তৈরি করে দেওয়ার নামে বাজার থেকে টাকা তুলে গা ঢাকা দেওয়া অভিযুক্তকে তৃণমূল কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনার জেরে শনিবার দুপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ির ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাতিকলোনি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম দীপককুমার সাহা। তার বাড়ি পাতিকলোনি এলাকায় হলেও সে পায়েল সিনেমা হলের পেছনে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি বছর পাঁচেক আগে শিলিগুড়ির প্রধাননগরে প্যাটেল রোড এলাকায় একটি সোনার দোকান খুলে বসে। পরবর্তীতে এজেন্টদের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা তুলে সোনার দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়।
এজেন্টদের অভিযোগ, দীপক নিজেকে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমর আনন্দ দাসের ভাগ্নে বলে পরিচয় দিত। কাউন্সিলারের বাড়িতে তার যাতায়াত ছিল। এদিন দীপক কাউন্সিলারের বাড়িতে এসেছে বলে তাঁরা খবর পান। এরপরই মহিলা এজেন্টরা কাউন্সিলারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রধাননগর থানায় তাঁরা বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ এসে কাউন্সিলারের বাড়ির ভেতর থেকে দীপককে গ্রেপ্তার করে।
এজেন্ট মধুমিতা সরকার, নবনীতা দাসদের বক্তব্য, ‘তৃণমূল কাউন্সিলার অমর আনন্দ দাস আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন যাতে আমরা ১৫ দিনে টাকা ফেরত পাই। কিন্তু সেই টাকা আমরা ফেরত পাইনি। সাত জনের বিরুদ্ধে আমরা মামলা রুজু করেছিলাম। বাকিদের গ্রেপ্তারির দাবি জানাচ্ছি।’
এবিষয়ে অমরবাবুর দাবি, ‘দীপক আমার আত্মীয় নয়। যখন সে আমার বাড়িতে এসেছিল তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। ইসলামপুর থেকে আমার ভাই এসেছে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই দীপক এসেছিল বলে জানতে পেরেছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলারের বাড়িতে যে কেউ দেখা করতে আসতেই পারেন। মাস তিনেক আগে ওকে সঙ্গে নিয়ে এজেন্টরা আমার ওয়ার্ড অফিসে এসেছিলেন। আমি সকলকে পুলিশের দ্বারস্থ হতে বলেছিলাম।’
মেয়র গৌতম দেব বলেছেন, ‘পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাছাড়া, কেউ কারও বাড়িতে যেতেই পারেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হচ্ছে।’ অন্যদিকে, পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।