হরিশ্চন্দ্রপুর: এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে করেছিল জুলি। কিন্তু বিয়ের পরেই চিত্রটা পালটে যায়। বিয়ের আট মাস পরই শ্বশুরবাড়িতে থেকেই দেহ উদ্ধার হল জুলির। অভিযোগ, পণ দিতে না পারায় ওই মেয়েটিকে বিদ্যুতের শক দিয়ে ঝুলিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার শ্রীপুর এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার খরা গ্রাম এলাকার বাসিন্দা জুলি পারভীন(২০)-র সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে হয় শ্রীপুরের যুবক জাহাঙ্গীর আলম-এর। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৫০ হাজার টাকা, সোনার অলংকার সহ অন্যান্য ঘর সাজানোর সরঞ্জাম দিয়েছিলেন গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। আবার ১ লক্ষ টাকা পণের দাবি করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়। গৃহবধূর বাবা হাইমুদ্দিন শেখ পণ না দিতে পাড়ায় গৃহবধূকে মাঝেমধ্যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি সদস্যরা। রবিবার রাতে পুনরায় গৃহবধূকে পণের দাবিতে হাত-পা বেঁধে সারা শরীরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সকালে গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদেরকে জানায়, তাদের মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি ছুটে যায়। এরপর সেখানে গিয়ে দেখে তাদের মেয়ের সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত। তা দেখেই মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা অনুমান করছেন তাদের মেয়েকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে অত্যাচার করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর মৃত গৃহবধূর পরিবারের তরফে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার কপ্রা হয়। শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।