মুর্শিদাবাদ: অবশেষে কংগ্রেসে স্বস্তি। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা নিতে রাজি হলো প্রশাসন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার জন্য মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের কংগ্রেস প্রার্থীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁদের প্রতীক চিহ্ন জমা দেবেন বিডিও অফিসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার জন্য মঙ্গলবার প্রতীক চিহ্ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে বড়ঞা বিডিও অফিসে যখন কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা তাঁদের প্রতীক জমা দিতে যান অভিযোগ সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী প্রার্থীদেরকে মারধর করে তাঁদের প্রতীক চিহ্ন কেড়ে নেয়ে। কংগ্রেস অভিযোগ করে, প্রায় ২৩০ জন পঞ্চায়েত প্রার্থী গতকাল বিডিও অফিসে হাজির হয়েছিলেন নিজেদের প্রতীক চিহ্ন জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তৃণমূলের দুস্কৃতীরা বিডিও অফিসে হামলা চালিয়ে প্রতীক কেড়ে নেওয়াতে প্রায় ১৩০ জন প্রার্থীর ‘ফর্ম বি’ (প্রতীক) জমা দেওয়া যায়নি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বড়ঞার কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজে গতকাল বিকেল থেকে বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে একটি মামলা করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, গতকাল যে সমস্ত কংগ্রেস প্রার্থীরা প্রতীক জমা দিতে পারেননি তাঁদের প্রত্যেকের প্রতীক জমা নিতে হবে। বড়ঞা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আজাদ মল্লিক বলেন, ‘হাইকোর্টের এই রায় কংগ্রেসের নৈতিক জয় বলে আমরা মনে করছি। যে সমস্ত কংগ্রেস প্রার্থীরা প্রতীক চিহ্ন জমা দিতে পারেনি তাঁরা আগামীকাল বিডিও অফিসে গিয়ে প্রতীক চিহ্ন জমা দেবেন।’ তিনি বলেন,’ প্রাথমিকভাবে আমরা ঠিক করেছি কংগ্রেস কর্মীরা কেউ একা বিডিও অফিসে প্রতীক চিহ্ন জমা দিতে যাবেন না। প্রার্থীরা সকলে দলবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে বিডিও অফিসে যাবে প্রতীক চিহ্ন জমা দিতে।’ অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরই বড়ঞাতে বিডিও অফিসের সামনে থেকে ধর্না তুলে নেন অধীর চৌধুরি। তিনি হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।