ধূপগুড়িঃ মুম্বইতে যখন তিন দলের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাতের রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক জাতীয় কংগ্রেস এবং সিপিএম ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তাদের জোট প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করল। শুক্রবার বিকেলে ধূপগুড়ি ডাকবাংলো ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দুই দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতা অধীর চৌধুরি এবং মহঃ সেলিম। উপস্থিত ছিলেন বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় সহ দুই দলের জেলা নেতারা।
জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূলের সঙ্গে বাম কংগ্রেস শামিল হলেও এরাজ্যে যে তার প্রভাব পড়বে না তা জোড়াল ভাবেই নিজেদের বক্তব্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেন সেলিম ও অধীর দুজনেই৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা দেশের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরি তাঁর বক্তব্যে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলেরই তীব্র সমালোচনা করেন। ইউপিএ জোটে বাম কংগ্রেস জোট দেশকে খাদ্য সুরক্ষা একশো দিনের কাজের মতো জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প উপহার দিয়েছে বলে উল্লেখ করে ধূপগুড়িতে জোট প্রার্থীকে জয়ী করার আহ্বান জানান। অধীর চৌধুরি বলেন, “এরাজ্যে মুখের কথায় ফুলঝুড়ি অথচ কিছুই পায়না ধূপগুড়ি। তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং ভোট লুটের জবাব এই উপনির্বাচনে দিতে হবে।”
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিমও তার বক্তব্যে তৃণমূল বিজেপিকে একে অপরের পরিপূরক বলেই উল্লেখ করেন। সেলিমের দাবি, “তৃণমূলের লুটের টাকা বিজেপির হাওলা এজেন্টরা পাচার করছে। সেজন্যে ভোটের সময় এরা বাংলার মেয়েকে চায় আর ভোট ফুরলেই রাশিয়ার মেয়েকে খোঁজে টাকা পাচার করতে। তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলই ধর্মকে রাজনীতিতে টেনে এনে ভাগ করে ফায়দা লুটছে।”
সিপিএম যুব নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ও রাজ্যের শাসকদলের নানা দুর্নীতির ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি কেন্দ্রের সরকারকেও নিশানা করেন। মীনাক্ষী বলেন, “যব চায়ে লাগে ফাটনে তব গ্যাসকা দাম লাগে ঘাটনে।” জোট প্রার্থী ঈশ্বর রায়ের সমর্থনে দুই দলের তিন হেভিওয়েট ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা ও রাজ্য নেতারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিপিএম সভাপতি সলিল আচার্য্য। জোটের নির্বাচনী জনসভায় উপচে পড়া ভিড় উৎসাহ বাড়িয়েছে দুই দলের কর্মী সমর্থকদেরই। তবে কেন্দ্রের ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে এখানকার ভোটের লড়াইয়ের মিল নেই তা স্পষ্ট করে মহঃ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ”মুম্বাই থেকে সেখানকার খবর হবে এবং ধূপগুড়িতে হবে এখানকার লড়াইয়ের আলোচনা। একের সঙ্গে অপরকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না।”